দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: কিশোরগঞ্জ

  • জলঢাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    জলঢাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

    নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় কালিগঞ্জ বাজারে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কালিগঞ্জ বাজারে বণিক সমিতির ব্যানারে ওই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শফিউর রহমান নামের এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

    কালিগঞ্জ বাজারে জলঢাকা-ডিমলা সড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি চলাকালে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে ওই সড়কে। এসময় সড়কের দুই ধারে যানবাহনের দীর্ঘ সারি আটকে থাকে।

    মানববন্ধন ও সমাবেশে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, শফিউর রহমান বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকান্ডে বাজারের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

    সমাবেশে কালিগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন গোলনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার, বনিক সমিতির সহসভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

    গোলনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘শফিউর রহমান সাদেক বিএনপির সদস্য নন। তিনি দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নাম ভাঙিগে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তার নিজের কোনো জমি বা ব্যবসা নেই। চাঁদাবাজি তার মূল ব্যবসা। অতি সম্প্রতি সে চাঁদা না পেয়ে কালিগঞ্জ বাজারের পাঁচজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন’।

    তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় দায়ের হওয়া একটি চাঁদাবাজির মামলায় শফিউর রহমান ২০ নম্বর আসামী। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ওই মামলাটি হয়। মামলা নম্বর ২৪। অথচ এই আসামী বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি অব্যাহত রেখেছেন’।

    শফিউর রহমানের দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামী কালিগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম সাদেকের বিরুদ্ধে জলঢাকা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দেয় ভুক্তভোগি এক ব্যবসায়ী। কিন্তু ওই মামলাটি এখনো রেকর্ড না করে সাদেকের দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়’।

    এ বিষয়ে কথা বললে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘একসঙ্গে দুইটি মামলা পেয়েছি। একটি রেকর্ড করা হয়েছে, অপরটি প্রক্রিয়াধীন আছে। বিষয় দুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

    এ বিষয়ে কথা বললে শফিউর রহমান বলেন, ‘জুয়া খেলায় প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। আমি বিএনপি করি, বুড়ি তিস্তা সেচ প্রকল্পের পক্ষে কথা বলার কারণে সাবেক সংসদ সদস্যের সঙ্গে মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে।

  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন মানসম্মত শিক্ষা, কমছে শিক্ষার্থী

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন মানসম্মত শিক্ষা, কমছে শিক্ষার্থী

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষকদের ক্লাস গ্রহণে উদাসীনতা, পাশাপাশি তাদের উপযুক্ত তদারকির অভাবে দিনদিন কমে যাচ্ছে প্রতিবছর ‘কোটি টাকা’ ব্যয়ে পরিচালিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা। ইতোমধ্যে অনেকটা কমেও গেছে। তবে এখানে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার পেছনে গ্রামে-গঞ্জে অসংখ্য কিন্ডারগার্টেন তথা কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠানও দায়ী।

    উপজেলায় অনুমোদন ছাড়া ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এই কিন্ডারগার্টেন। দেশে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

    এছাড়া শিক্ষার উন্নয়নে কয়েক বছর আগেও বেশকিছু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই বিতরণ করে উৎসব পালন করা হয়েছে।

    সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের উপকরণ কেনা বাবদ দেওয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। এছাড়াও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে সুসজ্জিত একাডেমিক ভবন। বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা, ক্ষুদ্র মেরামত ও প্লে শ্রেণির কক্ষ সজ্জিতকরণ এবং শিক্ষা উপকরণ কেনার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রয়েছে একেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষকও নিয়োগ রয়েছেন। এরপরও শিক্ষার্থী কমছে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    জানা গেছে, মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নের অভাবের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। বেশি টাকা খরচ হলেও তারা সন্তানকে দিচ্ছেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষা। যদিও ‘অভিভাবকদের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার’ উদ্দেশ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোটি টাকা খরচ করছে সরকার।

    অভিভাবকরা জানিয়েছেন, সঠিক জবাবদিহিতা নেই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এ কারণে পাঠদানে আগ্রহী নন শিক্ষকরা। একইসঙ্গে সরকারি চাকরি স্থায়ী মনোভাবের কারণে ক্লাসে অনিয়মিত উপস্থিতি থাকে তাদের। পাশাপাশি অনেকেই এসএসসি বা এইচএসসি পাস করেই ঢুকে পড়েছেন এ চাকরিতে। সেক্ষেত্রে দুর্বল মেধার একটা প্রশ্নও থেকে যায়। সবমিলে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুণগত মান দিনদিন কমে যাচ্ছে।

    তারা বলছেন, শিক্ষকদের পাঠদান নিয়মিত মনিটরিং না করায় তারা এ ব্যাপারে আন্তরিক না। চাকুরি বাঁচানোর একটা উপায় হিসেবে তারা পাঠদান করছেন। তাই বাধ্য হয়ে অর্থ ব্যয় করে হলেও সন্তানদের কেজি স্কুলে পাঠাচ্ছি। এছাড়া শুধু আমরাই নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ খোদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নিজেদের সন্তানকে কেজি স্কুলে পাঠাচ্ছেন। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ‘গরিবের সন্তানদের স্কুলে’ পরিণত হয়েছে।

    এদিকে, প্রতিবছর ব্যাঙয়ের ছাতার মতো কেজি স্কুলের সংখ্যাও বাড়ছে এ উপজেলায়। এসব স্কুলের অনুমোদন না থাকলেও ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে নানা অফার দিয়ে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে। বহুমুখী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে পোস্টার, লিফলেট, বিলবোর্ডসহ মাইকিং করে শিক্ষার্থী ভর্তি করে তারা। অবশ্য টাকা বেশি নিলেও শিক্ষা দেওয়ায় তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিকল্প বেছে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এছাড়া এসব স্কুলে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ করে সরবরাহও করা হচ্ছে সরকারি বই।

    উপজেলার কিছু কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজেদের বিদ্যালয়ের ফলাফল ভালো দেখানোর জন্য কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নাম হাজিরা খাতায় তুলে রাখছে। এভাবে তাদের হয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাও দিচ্ছে কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের দাবি, এ সুযোগ নিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা কেজি স্কুলকে সরকারি বই দিয়ে দেয়।

    আবু ও শফিকুল ইসলাম নামে দুই অভিভাবক গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন, প্রাথমিকের সরকারি শিক্ষকরা ১৮ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতন নিয়েও ঠিকমতো ক্লাস নিচ্ছেন না। অথচ যারা সরকারি চাকুরি না পেয়ে কেজি স্কুলে মাত্র তিন থেকে চার হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছেন, তাদের পাঠদানে সবাই ঝুঁকে পড়েছেন। এর কারণ সরকারি বিদ্যালয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হয় না। এছাড়া গুণগত মান যাচাই-বাছাই না করে গণহারে বেসরকারি বিদ্যালয়কে সরকারি করায় প্রাথমিক শিক্ষার মান অনেক কমে যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যারা নিজেই ইংরেজি পড়তে বা লিখতে পারেন না। এমন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে কী পড়াবেন?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, মনিটরিং করে একজন শিক্ষককে বদলি করার সুপারিশ করা গেলেও তাকে দক্ষ করার সুযোগ নেই। এছাড়া সরকারি চাকরি একবার হয়ে গেলে তা হারানোর কোনো ভয় তাদের মধ্যে থাকে না। কেজি স্কুলে চাকরি হারানোর ভয় থাকায় শিক্ষকরা বেশ আন্তরিক থাকেন। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয়কে গণহারে সরকারি করায় অনেক শিক্ষকের গুণগত মান নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার মান ফেরাতে শিক্ষকদের দক্ষ করতে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও ফাঁকিবাজদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা প্রয়োজন বলে করেছেন তিনি।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ড.মাহমুদা বেগম বলেন কেজি স্কুলের ভিড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কিছুটা কমে গেছে ঠিকই। সরকারি শিক্ষকরা আন্তরিক না হলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব না। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানের আহ্বান জানিয়েছেন।

  • কিশোরগঞ্জে অপহরন ও মুক্তিপন দাবির পৃথক দুটি মামলায় আসামী ৫০ জন

    কিশোরগঞ্জে অপহরন ও মুক্তিপন দাবির পৃথক দুটি মামলায় আসামী ৫০ জন

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অপহরন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুলবুল ইসলাম (২২) নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নিতাই ইউনিয়নের গাংবের ব্রীজের উপরে অবস্থান নিয়ে লুকিয়ে থাকে অপহরনকারী গ্যাংয়ের প্রধান সাদেকুল ইসলাম মুনসহ অপর সদস্যরা। মামলার ভিকটিম নিতাই গাংবের গ্রামের আফজাল হকের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে তরিকুল শশুর বাড়ি থেকে নিজ গৃহে ফেরার সময় র‌্যাব পরিচয় দিয়ে তাঁকে আটক করে মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। অপহরনকারী গ্যাংয়ের প্রধান মুনসহ অপর সদস্যরা তরিকুলের বাজারের ব্যাগ ও প্যান্টের পকেট তল্লাশী করে ৬০ হাজার টাকা বের করে নেয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে রাতভর মটর সাইকেলে নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি করে নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর বাজীতপাড়া ব্রীজের নিচে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মারধর করে। পরে গ্যাংয়ের প্রধান সাদিকুল ইসলাম মুন তাঁর ব্যবহুত মোবাইল ০১৩৯৪৯০২৩৯ নম্বর থেকে ০১৭১৯২৭৫৫৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।

    মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে অপহরন করার পর অপহরনকারীরা সারারাত বিভিন্নস্থানে ঘোড়াঘুড়ি শেষে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায়। আমার পরিবারের লোকজন অপহরনকারীদের মুক্তিপনের টাকা নিয়ে উপস্থিত হলে অপহরনকারীগন আমাকে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করি। এদিকে একই ঘটনায় অপর একটি মামলায় মাসফিক উদ্দিন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৯ জন ও অঙ্গাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

    কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন, অপহরনকারীর মুল পরিকল্পনাকারী সাদিকুল ইসলাম মুন সেনাবাহিনীর সদস্য। সে ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসে নিজেকে ভুয়া র‌্যাব পরিচয় দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে কৃত্রিম জলপ্রণালী বাহাগিলি ব্রিজ

    দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করছে কৃত্রিম জলপ্রণালী বাহাগিলি ব্রিজ

    ব্যতিক্রম ব্রিজ। যার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তা সেচের বগুড়া ক্যানেলের পানি আর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয় যমুনেশ্বরী নদীর পানি।এটির নাম একুডাইক্ট বা কৃত্রিম জলপ্রণালী। স্থানীয়ভাবে এটি বাহাগিলি ব্রিজ নামে পরিচিত।

    নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বাহাগিলিতে এই কৃত্রিম জলপ্রণালীটি অবস্থিত। এ ধরনের ব্রিজ উত্তর জনপদের আর কোথাও নেই। ফলে লোকজন আসেন এটি দেখতে। বিশেষ করে ঈদ ও উৎসবে লোকজনের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জেলার এ উপজেলায় বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ ব্রিজটিতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।  

    কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা ও কলেজছাত্রী আনজু আরা জানান, অবহেলিত উপজেলা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ। এখানে তেমন শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠেনি। গড়ে উঠেনি কোনো বিনোদনকেন্দ্র। ফলে স্থানীয় লোকজন ছাড়া বাইরের লোকজনও কৃত্রিম জলপ্রণালীটি দেখতে আসেন। কিন্তু এ ব্রিজ এলাকায় বসার জায়গা নেই, ভালো মানের কোনো খাবারের দোকানও নেই। ফলে লোকজনকে ঝামেলা ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শিশুদের রাইডসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে হতে পারে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান।  

    এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, এলাকাটিতে বসার জায়গা ও খাবার হোটেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেউ যদি লিজ নিয়ে করতে চায় ওপরের নির্দেশনায় তা করে দিতে পারি।

  • অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পড়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে যুবকের আত্মহনন

    অনলাইন জুয়ার খপ্পরে পড়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে যুবকের আত্মহনন

    মোবাইলে অনলাইন জুয়ার আসর বসিয়ে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় একটি চক্র তরুন যুবক থেকে মধ্য বয়সি মানুষজনকে ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। শতশত মানুষজন এখন পথে বসেছে। কেউ ঋণগ্রস্থ হয়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। 

    ঠিক এই জুয়ার কবলে পড়ে ঋণগ্রস্থ হয়ে ঋণের টাকা পরিশোধের কুলকিনারা না পেয়ে অবশেষে গলায় দড়ি দিয়ে আব্দুল্লাহ আল নোমান(২৭) নামের এক যুবক আত্নহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। 

    বুধবার(২৬ মার্চ) সকালে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের নিতাইবাড়ি মধুপুর কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত নোমান ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

    পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নোমান দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন জুয়া আসক্ত। অনলাইন জুয়ায় হেরে সে প্রচুর টাকার ঋণী হয়ে পড়ে। ঋণ পরিশোধের কোন কুলকিনারা না পেয়ে পরিবারের কাছে টাকা চেয়েও ব্যর্থ হয়। সেহেরীর সময় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখে নোমান নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্নহত্যা করেছে। 

    কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি জানান, অনলাইনে জুয়া ও ভিসা প্রতারক চক্রের এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, চক্রের মাধ্যমে এলাকার অনেকে ঋণগ্রস্থ হয়েছে। আপনারা মানষিকভাবে ভেঙ্গে না পরে থানায় এসে অভিযোগ দেয়ার আহবান জানান তিনি।