দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: ময়মনসিংহ বিভাগ

  • নৌকা ঈগল মুখোমুখি: আওয়ামী-লীগ সভাপতিসহ ৫জন আহত

    নৌকা ঈগল মুখোমুখি: আওয়ামী-লীগ সভাপতিসহ ৫জন আহত

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    জামালপুর-৫ সদর আসনে নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার বিকালে সদরের শাহবাজপুর দক্ষিণ কৈডোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

    আহতদের মধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য নিয়ামত আলী, নিয়ামত আলীর ছেলে জাকির হোসেন ফকির, বেলাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা ও মারুফ হোসেনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সংঘর্ষের সময় নৌকার প্রচার কেন্দ্রে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

    খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহরাব হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এ ঘটনার জন্য সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর সমর্থকদের দায়ি করেছে।

    এদিকে পাল্টা অভিযোগ ‍তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকী দিচ্ছে নৌকার সমর্থকরা। ইতোমধ্যে ঈগল প্রতীকের কয়েকটি প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট করেছে নৌকার সমর্থকরা। পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে ঈগলের সমর্থকদের ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে।

  • সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আর নেই

    সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আর নেই

    সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মারা গেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।
    রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহের নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে ময়মনসিংহের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মতিউর রহমানের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
    মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর একুশে পদক পান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা।
    প্রবীণ এই সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুর রেজ্জাক এবং মায়ের নাম মেহেরুন্নেসা খাতুন।
    বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে পথ চলতে অভ্যস্ত এ প্রবীণ রাজনীতিক আকুয়া মডেল প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৫৩ সনে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। এ সময় তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সনে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। এরপর তিনি নকলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি সম্পন্ন করেন। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয় স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯৫৮ সনে মেট্রিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ১৯৬১ সনে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
    এরপর ১৯৬৪ সনে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ সময় তিনি গফরগাঁও থানার পাঁচবাগ উচ্চ বিদ্যালয় এবং মনোহরদি হাতিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে বি.এস.সি. শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এরপর ১৯৬৬ সনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৬৭ সনে এম.এস.সি. সম্পন্ন করেন। এম.এস.সি. পাশের পর তিনি জামালপুর জেলার নান্দিনা কলেজ এবং ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেন। তিনি স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ময়মনসিংহ কলেজেও শিক্ষকতা করেন।