দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: ঢাকা

  • ‘কমেছে’ প্রচারণাতে খেজুরের কেজিতে বেড়েছে দেড়শ টাকা

    ‘কমেছে’ প্রচারণাতে খেজুরের কেজিতে বেড়েছে দেড়শ টাকা

    রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শুল্ককর কমানোসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেয় সরকার। ফলে আমদানি খরচ কমায় রোজার আগে ভোক্তা পর্যায়ে এবার খেজুরের দাম বাড়েনি, বরং কিছুটা কমেছিল। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা গিয়েছিল।

    কিন্তু রোজার শুরুতে পাল্টে গেছে বাজারের চিত্র। খেজুরের দাম এবার কমেছে– এমন প্রচারণার মধ্যেই গত দুই দিনে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। শুল্কছাড় সুবিধা আর পর্যাপ্ত সরবরাহের মধ্যেও দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা দায় চাপালেন সিন্ডিকেটের ওপর।

    রোববার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

    রোজার প্রথম দিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের খেজুরের দাম। বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হওয়া জাহেদী খেজুরের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। দাম কিছুটা কম হওয়ায় নিম্নবিত্তের ও খেটে খাওয়া মানুষের চাহিদায় থাকে এ খেজুর। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকায়।

    আরেকটু ভালো মানের খেজুর যারা খেতে চান তাদেরদের পছন্দে থাকে বরই খেজুর (দুবাইয়ের লুলু)। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে এ খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি বাজারে আর পাওয়া যাচ্ছে না এ খেজুর। যে কারণে খুচরা বাজারে বরই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এ খেজুর বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায়।

    বাজারে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আজোয়া ও মরিয়ম খেজুর। বাড়তি চাহিদার কারণে এ দুই শ্রেণির খেজুরের দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাজারে আজোয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ১০৫০ টাকা কেজিতে। আর বাজারে মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১২৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১১৮০ টাকায়।

    ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকা মেডজুল খেজুরের দামও কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহেও বাজারে মেডজুল খেজুর ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি রোজার প্রথম দিনে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫০-১৬০০ টাকায়।

    এছাড়াও বাজারে দাবাস খেজুর ৫০০ টাকা, মাশরুক ৮০০ টাকা, সুগাই খেজুর ১০০০ টাকা এবং ডাল খেজুর নামে পরিচিত তিউনিশিয়ান খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এসব খেজুরের দাম ছিল যথাক্রমে ৪৬০, ৭০০, ৯৫০ এবং ৬০০ টাকা কেজি।

    ক্রেতাদের মধ্যে ফের অসন্তোষ

    রোজার শুরুতে খেজুরের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ফের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, সরকার তো শুল্ককর কমিয়ে দিয়েছে, নতুন করে করারোপ হয়নি। তাহলে কেজিপ্রতি খেজুরের দাম এত বাড়ল কেন? সরকারের কী এসব ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই?

    সাইদুল ইসলাম নাম এক ক্রেতা বলেন, সরকার দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়ে খেজুরসহ রোজার কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে শুনেছি। কিন্তু এর মধ্যেও রোজার এক-দুই দিন আগে আবারও দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। বাজারে সেই আগের চিত্রই। সরকার যেটুকু মওকুফ করেছে, সেটা এখন পেটে ঢুকছে ব্যবসায়ী আর সিন্ডিকেটের।

    তিনি আরও বলেন, রোজার মাসকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই দেখি অসাধু চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্য মুসলিম দেশগুলোতে যেখানে রোজাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা শত শত পণ্যে বিশেষ ছাড় দেয় সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে ক্রেতাদের পকেট কাটে। এই চিত্র মনে হয় না কোনো দিন পাল্টাবে।

    আব্দুর রহমান নামক আরেক ক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন যাবত খবরে দেখে আসছি খেজুরের দাম কমেছে। যে কারণে কিছুটা স্বস্তিতেই ছিলাম। গতকাল (শনিবার) বেতন পেয়েছি, আজ বাজারে এসে দেখি সব খেজুরের দামই বাড়তি। এবার তো শুনেছি সরকার রোজার আগেই কিছু পণ্যের শুল্ক মওকুফ করেছিল। এটা তো নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ ছিল। জনগণ সুফল পেলে ভালো হতো। কিন্তু সেই সুফল দেখি বিক্রেতারা খেয়ে ফেলেছে।

    তিনি বলেন, খেজুরের দাম গত কয়েকদিনে খুচরা পর্যায়ে যতটুকু বেড়েছে, এটা স্থানীয় ব্যবসায়ী আর বাজার সিন্ডিকেট মিলে বাড়িয়েছে। সরকারের অবশ্যই শক্ত হাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

    সিন্ডিকেটের ওপর দায় চাপালেন ব্যবসায়ীরা

    রোজার এক-দুই দিন আগে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে নিজেদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে পর্যাপ্ত খেজুর থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েছে। সরকার যদি পাইকারি বাজারে অভিযান চালিয়ে খেজুরকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে পারে, তাহলে প্রতি কেজিতে খেজুরের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত এমনিতেই কমে যাবে।

    রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকার মদীনা খেজুর অ্যান্ড মধু শপের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, গত দুই-তিন দিনে প্রায় প্রতিটি খেজুরের দামই বেড়েছে। দাবাস খেজুরের আগে কার্টন ছিল (১০ কেজি) ৩৭০০ টাকা, গতকাল সেটি কিনে এনেছি ৪০০০ হাজার টাকায়। বড় সাইজের মেডজুল খেজুরের কার্টুন (৫ কেজি) ছিল ৫৮০০ টাকা। সেটি গত দুই-তিন দিনে ৬৮০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। ছোট সাইজের মেডজুল খেজুর যেখানে ৫৩০০ টাকা কার্টন ছিল, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৩০০ টাকায়।

    তিনি বলেন, মরিয়ম খেজুরের দামটা তুলনামূলক একটু কম বেড়েছে। প্রতি কার্টনে ১০০ টাকার মতো বেড়েছে। সে অনুযায়ী একেকজন একেক দামে বিক্রি করছে। মরিয়মের দামটা কিছুটা কম বাড়ার কারণ হলো এই খেজুরটা আগেই বেশি ইমপোর্ট হয়ে গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরাও বেশি বেশি করে কিনে রেখেছে। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত বরই খেজুরটা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। যেটা পাওয়া যায় সেটা খুবই লো কোয়ালিটির, যে কারণে আমরা সেটির জায়গায় অন্য খেজুর কিনছি।

    দাম প্রসঙ্গে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ করি। এর বাইরে দাম নিয়ে যা হয়, সব উপরের লেভেলের খেলা। তবে পাইকারি বাজারের ক্রেতা হিসেবে যতটুকু বুঝতে পারি, শুল্ককর কমার পর অনেকটাই দাম কমে এসেছিল। কিন্তু ইদানিং আবার বেড়ে যাওয়ায় খেজুরের দাম সেই আগের জায়গাতেই চলে গেছে। মাঝে সরকার যেই সুবিধা দিয়েছে সেটি ঢুকেছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, আওয়ামী লীগের সময় খেজুর আমদানি নিয়ন্ত্রণ করত নজরুল ইসলামের নাসা ও হাজী সেলিমের মদিনা গ্রুপ। এবার সেই সিন্ডিকেট ভেঙেছে। তবে আওয়ামী লীগের সেই জায়গাটা দখল করেছে অন্য আরেকটি রাজনৈতিক দল। যে কারণে খেজুরের দাম কমে গিয়েও সেটি আবার বেড়েছে।

    চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ, মজুত কেমন?

    বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সব আড়তই বিভিন্ন মানের খেজুরে ভরপুর। শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করায় আমদানিও বেড়েছে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, দেশে আমদানি করা খেজুরের ৬০ শতাংশই আসে ইরাক থেকে। দ্বিতীয় স্থানে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মোট ২০টি দেশ থেকে ২৮ ধরনের খেজুর আসে বাংলাদেশে। আমদানি উৎসের তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, ওমান, জর্ডান, মিসর, ফ্রান্স ও ভারত।

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টন। এর মধ্যে রমজানে খেজুরের চাহিদা থাকে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টন। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে খেজুর আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের গত সাড়ে ৭ মাসে ৩৭ হাজার ৫৭০ টন খেজুর আমদানি হয়েছে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ আমদানি হয়েছে গত দেড় মাসে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে আমদানি হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৯ টন। আর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ দিনে আমদানি হয়েছে ১৬ হাজার ৭৯৪ টন।

    ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত খেজুরের চাহিদা থাকে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টন। কিন্তু রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার টন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা খেজুর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে প্রবেশ করে দেশের বাজারে। অন্য কিছু খেজুর আসে বিমানে। চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে প্রায় ১২ হাজার টন খেজুর আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ আড়াই মাসে এসেছে আরও ১২ হাজার টন। পাইপলাইনে আছে আরও ১২ হাজার টন।

    সূত্রঃ dhakapost.com

  • কব্জি কাটা আনোয়ার গ্রুপের টুন্ডা বাবু-রিফাতসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

    কব্জি কাটা আনোয়ার গ্রুপের টুন্ডা বাবু-রিফাতসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

    সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খালিদুল হক হাওলাদার।

    তিনি বলেন, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুরের বসিলা র‍্যাব-২ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

    সূত্রঃ dhakapost.com

  • সবজিতে স্বস্তি, আগের দামে ফিরল গরু ও মুরগির মাংস
    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাড়তি চাহিদার কথা বলে গরু ও মুরগির মাংসের দাম হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর এক দিন পর চাহিদা কমায় দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ফলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে- গরু, মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। ছবিঃ dhakapost.com

    সবজিতে স্বস্তি, আগের দামে ফিরল গরু ও মুরগির মাংস

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। যা গতকাল শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় নেমে এসেছে।

    এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত ৪দিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়লেও এক দিনের ব্যবধানে তা কমে আগের দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা। 

    অপরদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাঙাস ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৬০ টাকা, শিং ৩২০ থেকে ৪০০ শত টাকা, চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পোয়া ২৬০ টাকা, সইল ৭০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল মাছে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।

    সবজির দামে স্বস্তি 

    শবে বরাত উপলক্ষ্যে মাছ-মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হলেও, সবজির দামে প্রভাব পরেনি। আগের দামেই বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ সবজি। 

    সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা, খিড়া ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

    রাজধানীর রায়ের বাজারে আবুল কালাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গতকাল শবে বরাত হিসেবে গরু কিনেছিলাম। দাম বেশি ছিল। আজকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে আজকে মাছ কিনতে এসেছি। নিয়মিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। গতকাল রুই মাস দাম ৪০০ টাকা কেজি চেয়েছিল, আজকে ৩৫০ টাকা দিয়ে নিয়েছি।

    সাদেক খান সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, এখানে রাজধানীর অন্যান্য বাজার তুলনায় সবজির দাম কম থাকে। সে কারণে আমরা খুচরায় কমে বিক্রি করতে পারি।

    সূত্রঃ dhakapost.com

  • আজ নির্বাচন কমিশনে যাবে জামায়াতে ইসলামী

    আজ নির্বাচন কমিশনে যাবে জামায়াতে ইসলামী

    ২০১৩ সালে আদালতের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার পর আর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নিবন্ধন অবৈধ হওয়ার আগে ২০১২ সালের শেষের দিকে ইসিতে এসেছিল জামায়াত। দীর্ঘ এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইসিতে আসছে দলটি।

    ইসির অতিরিক্ত সচিব ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে আসার কথা রয়েছে। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এজন্য ১০টায় দলটিকে সময় দেওয়া হয়েছে।

    ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধন বাতিলের আগে নির্বাচন কমিশনে দলটির সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর। সে সময় নিবন্ধন বাঁচাতে দলটি গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে কাগজপত্র জমা দিয়েছিল। ওইদিন তৎকালীন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার সংশোধিত গঠনতন্ত্রের মুদ্রিত কপি কমিশনে জমা দেন।

    পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

    এর আগে, গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ও সেলিমা রহমান।

    ওই বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদও বৈঠকে অংশ নেন।

  • জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনে ডাক্তার সাবরিনা, যা বললেন নেতারা
    ডাক্তার সাবরিনা হুসেন (মিষ্টি)। ছবি: সংগৃহীত

    জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনে ডাক্তার সাবরিনা, যা বললেন নেতারা

    জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এ যোগ দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত চিকিৎসক ডাক্তার সাবরিনা হুসেন (মিষ্টি)। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তাকে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সমালোচনার মুখে এখন তাকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে সংগঠনটি।

    করোনামহামারি চলাকালে ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই বহু মানুষকে জাল রিপোর্ট দিয়েছিল সাবরিনা হুসেনের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার। ডাক্তার সাবরিনা ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এই অভিযোগে করা এক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল তাকে। রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল সাবরিনাকে। এ রকম একজন সমালোচিত ব্যক্তিকে কেন সংগঠনে নেওয়া হলো? জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তাকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছি।’

    সাবরিনাকে সংগঠনে নেওয়া প্রসঙ্গে রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘তাকে (ডাক্তার সাবরিনা) সংগঠনে নেওয়া হয়েছিল। তার পরিবারের একজন সদস্য বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই বিবেচনায় তাকে আমরা নিয়েছিলাম। এখন বাদ দেবো।

    জিসাস-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রোকেয়া সুলতানা কেয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্প্রতি সাবরিনাকে জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

    নমুনা পরীক্ষা না করেই জাল রিপোর্ট দেওয়া অপরাধের মামলায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন সাবরিনা। জেলজীবন নিয়ে বই প্রকাশ করেও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। তবে বই ও মহামারিকালের অপরাধ ছাপিয়ে ভ্লগার হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছেন এই নারী।