দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: চট্টগ্রাম বিভাগ

  • গাজায় ইসরায়ীলী গণহত্যার প্রতিবাদে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন এর বিক্ষোভ সমাবেশ

    গাজায় ইসরায়ীলী গণহত্যার প্রতিবাদে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন এর বিক্ষোভ সমাবেশ

    গাজায় ইসরায়ীলী গণহত্যার প্রতিবাদে- গাজাবাসীর আহবানে বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতাল সমর্থনে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভ্যুলেশন চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার দিকনির্দেশনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা রেজাউল কাওসার। বক্তব্য রাখেন সাবিনা সায়াদাত সাফা, মাওলানা খোরশেদ আলম, আজিজ মাবরুর, নিজাম উদ্দীন, নাফিজ মোবারক, আব্দুল বারেক, আব্দুল আজিজ, লোকমান হোসেন লাবলু, গিয়াস উদ্দীন, নজিবুল কবির রাহগীর, রেজাউল করিম, হোসনে আরা বেগম, তাছলিমা আক্তার আরজু, সুমি আক্তার, আরিফুল হক প্রমুখ। বক্তাগণ দুনিয়ার সর্বত্র বিভিন্ন ধর্মের নামে ধর্মের মানবিক শিক্ষার বিপরীত সভ্যতা মানবতা বিনাশী উগ্রবাদী খুনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠির রাষ্ট্রীয় উত্থান বর্বরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তি মানবতায় বিশ্বাসী সব মানুষকে মুক্তির সঠিক পথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানান।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, পাশবিক শক্তির নৃশংসতা গণহত্যার বিরূদ্ধে কেবল প্রতিবাদ মিছিল ও নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয়, একক ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক হিংস্র পাশবিক স্বৈররাজনীতির ধারক মানবতা বিরোধী খুনী অপশক্তির বিরূদ্ধে সভ্যতা মানবতার পক্ষের সমস্ত মানুষকে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে হবে।

    তাঁরা বলেন, শুধু গাজায় নয়, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, ইন্ডিয়া এবং আরাকানসহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্ম, জাতি, গোত্র বিভিন্ন ছদ্মবেশে মানবতার শত্রু উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি ভয়াবহ হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।

    মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়ার লক্ষ্যে দুনিয়াব্যাপী সত্য, ন্যায়, মানবতা, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, অধিকার ও বিবেকের ধারক শান্তিকামী সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত উদয় উত্থান ও সুপরিকল্পিত অগ্রযাত্রাই সকল অপশক্তি থেকে মানবতাকে উদ্ধার ও মুক্তির একমাত্র উপায় হিসেবে তাঁরা সকলকে উপলব্ধির আহবান জানান।

  • ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ

    ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ

    কক্সবাজার, যশোর, নীলফামারী ও সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের সই করা পৃথক চারটি আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

    এতে বলা হয়, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন। যশোরের পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ যশোর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

    নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নীলফামারীর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

    সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

  • এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
    এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল যুবদল নেতা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

    এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

    হত্যা মামলার আসামি হয়েও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ। এসপির কক্ষে বসেই সেলফি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তা ভাইরাল হলে পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার একটি বাসা থেকে আসামি আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তার বাড়ি পেরিয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামে।

    পুলিশ জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কিছু নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন হত্যা মামলার আসামি আহসান উল্লাহ। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে শনিবার আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘আহসান উল্লাহ আমাদের দলের লোক সেলিম হত্যা মামলার আসামি তা জানা ছিল না। জানা থাকলে তাকে পুলিশ অফিসে নেওয়া হতো না। ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।’

  • বন্যায় ঘরহারাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে হুয়াওয়ে

    বন্যায় ঘরহারাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে হুয়াওয়ে

    সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অসংখ্য মানুষ। ফসল, গবাদি পশু থেকে শুরু করে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারিয়েছে অনেক পরিবার। সেরকম কিছু পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে।

    এবছর নিজেদের ত্রাণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে হুয়াওয়ের অর্থায়নে ও অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের তত্বাবধায়নে বিনামূল্যে বন্যাদুর্গতদের জমিতে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ফেনীর পরশুরাম এলাকার আহসান উল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, মোস্তফা ও দেলোয়ারের পরিবারকে এই ঘরগুলো তুলে দেয়া হয়। 

    হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিন হাই (হ্যাভেন) এই চার পরিবারকে ঘরগুলো হস্তান্তর করেন। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আহমেদ ইমতিয়াজ জামী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আগামীতে অন্যান্য এলাকার আরও ২১টি পরিবার একই সুবিধা পাবে।

    বন্যাকবলিত এলাকায় আগস্ট মাস থেকে বেশ কয়েকটি মেডিকেল ক্যাম্প শুরু করেছে হুয়াওয়ে। এই ক্যাম্পগুলোতেও তত্বাবধায়নে কাজ করছে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন। ক্যাম্পগুলোতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসকদের পরামর্শ, ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এসব মেডিকেল ক্যাম্পগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

    ‘বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য’- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হুয়াওয়ে গত ২৬ বছর ধরেই বাংলাদেশের প্রতি সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে বিভিন্ন ধরনের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

  • আজ চট্টগ্রাম থেকে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজার

    আজ চট্টগ্রাম থেকে প্রথম ট্রেন যাচ্ছে কক্সবাজার

    কর্ণফুলী নদীর উপর সেই শতবর্ষী, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন কালুরঘাট সেতুটির অধিকাংশ সংস্কারের পর তার উপর দিয়ে রেলইঞ্জিন চালিয়ে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল শনিবার। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের সহায়তার বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের প্রকৌশলী ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু দিয়ে ৯০ টন সিরিজের ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান দেয়া হয়।
    রেলওয়ের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ টিমের কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষামূলকভাবে আজ রবিবার সকালে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। আগামী ১১ নভেম্বর চট্টগ্রাম- কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে ৭ ঘন্টা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়া যাবে আড়াই ঘণ্টায়।তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পাহাড়-নদী-সবুজ অরণ্যের মধ্য দিয়ে সমুদ্রনগরী বা পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ট্রেন যাবে তা এতদিন অনেকটা স্বপ্ন ছিল। তবে সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে শিগগিরই। যদিও কয়েক মাস আগে প্রবল বৃষ্টিতে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন নির্মিত রেললাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় রেললাইনে মাটি সরে গেছে। রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল ও সাহসের কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতো সেসব ঠিক করে মোটামুটিভাবে ট্রেন চলাচলের উপযোগী একটি অবস্থায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।
    ঢাকা থেকে আসার পথে বেশ কয়েকটি নদীতো পাড়ি দিয়েই আসবে ট্রেন। তারপর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে পাড়ি দেবে কর্ণফুলী, শঙ্খ, মাতামুহুরী নদীসহ আরো বেশ কয়েকটি খাল। পাড়ি দিতে হবে দেশের অন্যতম অভয়ারণ্য চুনতি অভয়ারণ্য। চুনতি অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় যাতে হাতির চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য হাতির চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে পথ। আর সেই পথের নিচ দিয়ে পার হবে ট্রেন।
    রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন- এই ট্রেন চলাচলের ফলে হাতির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও চলাচলে তেমন কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। তবে পরিবেশবাদীদের দাবি ছিল চুনতি অভয়ারণ্যকে কোনোভাবে বাইপাস করা যায় কিনা। কিন্তু তা আর করা সম্ভব হয়নি ভৌগলিক কারণেই। হাতির জন্য তৈরি করা হয়েছে তাদের পথ চলাচলের করিডোর।
    প্রায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল পথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে শনিবার থেকে- এমনটি বলা চলে কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল দেয়ার পর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে নির্মিত অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ঝিনুকাকৃতির রেলস্টেশনসহ ঢাকা- কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে।

    তবে কিছু কাজ বাকি থাকায় এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে চলতি বছরের পহেলা ডিসেম্বর থেকে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বেশ কিছু ট্রেন যাবে কক্সবাজারে। পর্যটকবাহী এক একটি ট্রেনে থাকবে ৮০০ থেকে ১২০০ যাত্রী। সব মিলিয়ে এ রেলপথে বছরে যাত্রী আসা যাওয়া করবে প্রায় ২ কোটি।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা বলেছেন , নদীর উপর ব্রিজের কাজ করা চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু সবার সহযোগিতায় সেটি ঠিকভাবে করতে পেরেছি। ৩টি ইঞ্জিন দিয়ে সফল ট্রায়াল রান হয়েছে, আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কালুরঘাট সেতু হয়ে ট্রেন কক্সবাজার যাবে এ আশা করছি।

    গত বৃহস্পতিবার কালুরঘাট সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের উপস্থিতিতে ২২০০ ও ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিন চালানোর কথা ছিল। কিছু ত্রুটি থাকায় তা সম্ভব হয়নি। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম প্রধান অধ্যাপক ড. সাইফুল আমিন বলেন, ট্রেন চলাচলের জন্য বুয়েটের টিম কাজ করছে। সেটি সফল হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেন চলাচল শুরু হলে ঢাকা থেকে মাত্র ৭ থেকে সাড়ে ৭ ঘন্টায় সমুদ্র নগরী বা পর্যটননগরী কক্সবাজারে পৌঁছানো যাবে। আর চট্টগ্রাম থেকে যেতে সময় লাগবে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। ঢাকা থেকে কক্সবাজার চলাচলে টিকেটের মূল্য হবে দেড় হাজার টাকা।