দৈনিক নীলফামারী বার্তা

Category: খুলনা বিভাগ

  • মাগুরায় আছিয়ার মরদেহ, এলাকায় শোকের মাতম

    মাগুরায় আছিয়ার মরদেহ, এলাকায় শোকের মাতম

    ধর্ষণ ও নির্যাতনে গুরুতর আহত আট বছরের শিশু আছিয়ার মরদেহ মাগুরায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। 

    এর আগে দুপুরে আছিয়া ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়। সন্ধ্যার আগে তার মরদেহ সিএমএইচ থেকে মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সেনাবাহিনী। 

    মাগুরায় মরদেহ পৌঁছানোর পর অ্যাম্বুলেন্সে আছিয়ার মরদেহ শহরের নোমানী ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মানুষের ঢল নামে। বাদ এশা আছিয়ার বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম  সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সোনাকুন্ডী সম্মিলিত ঈদগা ও গোরস্থান ময়দানে তাকে দাফন করা হবে।

    এদিকে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কাঁদছেন শিশুটির স্বজন ও প্রতিবেশীরা। দুপুরে আছিয়ার মৃত্যুর খবর তার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন আতীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী।

    মাগুরার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ ছুটে আসে আছিয়াদের বাড়িতে। পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। শিশু, কিশোর-কিশোর, নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী মানুষের একটাই দাবি- ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেন তারা।

    আছিয়ার খালা ধোলায় বেগম রোকেয়া আহাজারি করে বলেন, আমাদের মনি আছিয়া আর নেই। আমরা মনিরে আর জীবিত দেখতে পারবো না। আমরা সঠিক বিচার চাই।

    আছিয়ার সহপাঠী রিদ্ধিতা বিশ্বাস বলে, আমি আর আছিয়া একসাথে স্কুলে যেতাম। আছিয়ার যে মেরেছে তার সঠিক বিচার চাই।

    শিশুটির ছোট চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, আছিয়ার মৃত্যুর খবরে আমাদের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাগুরার বিভিন্ন স্থানের মানুষ আমাদের বাড়িতে ছুটে আসছে। ঢাকা থেকে তার মৃত্যুর খবর শোনামাত্র এসে আমার আত্মীয়-স্বজন,পাড়া প্রতিবেশীদের মাঝে জানাই। মেয়েটির বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। সে ভালোভাবে কথাবার্তা বলতে পারে না। আমি সব সময় আছিয়ার পরিবারের সাথেই থাকবো। এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের সর্ব্বোচ শাস্তি দাবি করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

  • বোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ

    বোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ

    মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তাঁর বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তাঁরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

    আজ শনিবার সকালে বড় বোন ও বাবাকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান শিশুটির মা। সেই অনুযায়ী বেলা তিনটার দিকে মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪)–এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ করা হয়। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। মায়ের পাঠানো এজাহার অনুযায়ী মামলা হয়েছে। আগে থেকে হেফাজতে থাকা চার আসামিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তাঁর শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি।

    এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোলতাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তাঁর বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তাঁর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়।

    এজাহারে আরও বলা হয়, ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তাঁর মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে তাঁর স্বামী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাশুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি অন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে বলে চিকিৎসকদের জানান। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে যান।ৎ

    মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভাশুর—কেউই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। তাঁরা অসংলগ্ন ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ায় ভুক্তভোগীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    শিশুটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০ দিনের মতো আগে আমার সঙ্গে একটা ঘটনা ঘটে। সেদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। আমি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যাই। টয়লেট থেকে ফিরে দেখি ঘরে আলো বন্ধ। হঠাৎ একজন আমার পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আমি উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে বুঝতে পারি, সে আমার শ্বশুর। বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে সে উল্টো আমাকে আজেবাজে কথা বলে। আমি আমার বাড়িতেও এ কথা জানাই। বাড়িতে গিয়ে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাইনি। কিন্তু বাড়ি থেকে আমাকে বুঝিয়ে আবার পাঠানো হয়। আমার ভেতর সব সময় ভয় কাজ করত, যদি ওই ঘটনার চেয়ে খারাপ কিছু ঘটে। এ কারণে আমার সঙ্গে আমার ছোট বোনকে পাঠায়।’ তিনি আরও বলেন, তিনি এলাকার লোকজনের কাছে শুনেছেন, এর আগেও দুইটা মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাঁর শ্বশুর।

    পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাড়ি জেলার শ্রীপুর উপজেলায়। কয়েক দিন আগে বড বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আজ বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) পাঠানো হয়েছে।

  • ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ

    ৪ জেলার এসপিকে দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ

    কক্সবাজার, যশোর, নীলফামারী ও সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের সই করা পৃথক চারটি আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

    এতে বলা হয়, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন। যশোরের পুলিশ সুপার মো. জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ যশোর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

    নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম নীলফামারীর জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

    সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে দায়িত্বভার অর্পণ করে আপনি ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে রিপোর্ট করবেন।

  • মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন পেলেন সাকিব

    মাগুরা-১ আসনে মনোনয়ন পেলেন সাকিব

    জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাগুরা- ১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
    আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নৌকার এ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
    গত ১৮ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আসনগুলো হলো ঢাকা- ১০, মাগুরা- ১ ও ২। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদকের কক্ষে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন সাকিব। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক।
    বৈঠক শেষে সাকিবের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবেন। তিনি জনগণের সেবা করবেন।’
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

  • খুলনা ও বরিশাল সিটির ভোটগ্রহণ শুরু

    খুলনা ও বরিশাল সিটির ভোটগ্রহণ শুরু

    অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উভয় সিটিতেই ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।
    এরই মধ্যে ভোট শুরুর আগেই বরিশালের কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সেখানে অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইভিএম পদ্ধতিতে একে একে ভোট দিতে শুরু করেছেন ভোটাররা। শুরুতেই ভোট দিয়েছেন হাতপাখা প্রতীকের মেয়নপ্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি নগরীরর রূপাতলী হাউসিং শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। সুষ্ঠু ভোট হলে ফলাফল যাই হোক মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
    অন্যদিকে খুলনা সিটিতেও সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
    এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
    নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা মহানগরীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে তারা ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল শুরু করেছে।

    খুলনা বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান জানান, কেসিসি নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ২০ জন করে মোট ২২০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি দলে ৪ থেকে ৫ জন অফিসার দায়িত্বে রয়েছেন।
    অপর দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।

    এবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। সিটি নির্বাচনে এবার নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।

    এই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত টহল শুরু করেছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। সকাল থেকে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে এসব বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সড়কের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
    বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার ৪০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
    খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরই মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
    খুলনার মেয়র প্রার্থী যারা
    তালুকদার আব্দুল খালেক (আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক), মো. আ. আউয়াল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হাত পাখা), মো. শফিকুল ইসলাম মধু (জাতীয় পাটি, লাঙ্গল), এস এম শফিকুর রহমান (স্বতন্ত্র, টেবিল ঘড়ি) এবং এস এম সাব্বির হোসেন (জাকের পার্টি, গোলাপ ফুল)।
    বরিশালের মেয়র প্রার্থী যারা
    আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
    এছাড়া বরিশাল সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।