শিশু সেজুতি (৯) আক্রান্ত ব্রেইন টিউমারে (সুপ্রাসেলার এরাকনয়েড সিস্ট)। তাকে সুস্থ করতে কাঠমিস্ত্রি বাবা তিন লাখ টাকা খরচ করে সম্পন্ন করেছেন প্রথম দফার অপারেশন। দ্বিতীয় দফা অফারেশনে আরও প্রয়োজন দুই লাখ টাকা। সে টাকা যোগার করা সম্ভব না হওয়ায় আটকে আছে চিকিৎসা।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি শিশু রায়ের মেয়ে সেজুতি রানী রায়। তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে ২০২০ সালে। সেময়ে রংপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসান। ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে ভর্তি করা হয় ভারতের বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এণ্ড নিউরো সাইন্স হাসপাতালে। সেখানে নিউরো সাইন্স ডির্পাটমেন্টের ইউনিট প্রধান প্রফেসর ডা. ইন্দিরা বি দেবীর তত্বাবধানে প্রথম দফার অপারেশন সম্পন্ন হয়। তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে ছয় মাস পর দ্বিতীয় দফায় অপারেশনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু সময় পার হলেও অর্থভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি দ্বিতীয় অপারেশন। এখন শিশুটির পুরো সুস্থতায় দ্বিতীয় অপারেশনটি জরুরী হয়ে পড়েছে। সেটি না হলে ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে শিশুটি।
সেজুতির বাবা শিশু রায় জানান, কাঠমিস্ত্রির কাজে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ে কোনভাবে সংসার চলে তার। তিন লাখ টাকা খরচ করে ভারতে নিয়ে সন্তানের প্রথম দফার অপারেশন করতে শেষ করেছেন সহায় সম্বল। দ্বিতীয় অপারেশনের জন্য প্রয়োজন দুই লাখ টাকা। সে টাকা যোগার করা তার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভবস হচ্ছে না। সেজুতির গৃহিনী মা ছবিতা রানী রায় বলেন,‘হামার জমা টাকা নাই, ছাওয়ার কষ্ট সহ্য করির না পারি গরু, ছাগল বেচাইনো। কিছু টাকা হওয়াদ করি তিন লাখ টাকায় অপারেশন করাইনো। ছয়মাস পর আরেকবার অপারেশন করিবার নিগিবার কইছে ডাক্তার। ওই ডেট পার হইছে, এলা টাকার অভাবোত চিকিৎসা আটকি আছে। ছাওয়াটাক চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চাছো মুই’।
শিশুটির চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে পারবেন তার বাবা শিশু রায়, হিসাব নন্বর ১২২০০০০২৯৮৮, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, মিরজাগঞ্জ শাখা, ডোমার, নীলফামারী। যোগাযোগ এবং বিকাশ নম্বর ০১৭৩৭৮৫২৪৯৪।
তারুণ্যের উৎসব ঘিরে নীলফামারীতে সেপাক-টাকরো প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
তারুণ্যের উৎসব ঘিরে নীলফামারীতে সেপাক-টাকরো (ফুট ভলিবল) প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ সেপাক-টাকরো ফেডারেশনের আয়োজনে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের ভীষণ জনপ্রিয় সেপাক টাকরো বাংলাদেশে…