দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে নির্জনে গিয়ে চালকের গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছিনতাইকারীসহ চোরাই ব্যাটারী ক্রয়কারী দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার সৈয়দপুর মিস্ত্রীপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোকসেদুল মোমিন (২৩), দিনাজপুরের বিরল উপজেলার দোগাছি এলাকার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে ভাঙরি ব্যবসায়ী মো. জামাতুল ইসলাম (২৮) ও দিনাজপুর সদরের পশ্চিম মিশন রোডের মৃত মঈন খানের ছেলে চোরাইমাল ক্রয়কারী মো. রাজন (৪২)।
গত ২১ জুন শুক্রবার দিনাজপুর সদর সার্কেল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন। তিনি ঘটনার বিবরণে জানান, গত ৪ জুন দিবাগত রাত ১০টার দিকে ইজিবাইক চালক আশরাফুল নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে ইজিবাইক চালিয়ে যাত্রী খুঁজছিলেন। এর একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা যাত্রীবেশে ইজিবাইটি রিজার্ভ ভাড়া নেন। পথিমধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপু্র ইউনিয়নের জোতরঘু গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছলে নির্জন পথের সুযোগ নিয়ে ইজিবাইক চালক আশরাফুলের হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ভিকটিম প্রতিরোধ করলে ছিনতাইকারীরা তাঁর গলায় চাকু মারার পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ইজিবাইক চালককে গুরুতর জখম অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আশরাফুলের পিতা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। দিনাজপুর পুলিণ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদের দিকনির্দেশনায় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার নীলফামারী থেকে মোকসেদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। পরে আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে, এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম, ৫টি ব্যাটারি উদ্ধার ও চোরাই মাল ক্রয়কারী দুইজনকেও গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, হত্যাচেষ্টায় জড়িত আল-আমিন ও বাবুকে ধরতে অভিযান চলছে।