নীলফামারীর সৈয়দপুরে আকস্মিক ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা, ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৯ মে) দিনগত রাত ২ টার দিকে শুরু হওয়া ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১৫ মিনিট। এতে শহর ও গ্রাম এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাড়িঘর ও দোকানপাটেরও ক্ষতি সাধিত হয়। এতে করে সকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন থাকে। ঝর ও হালকা শিলা বৃষ্টিতে চলতি ইরি বোরো পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, বানিয়াপাড়া এলাকার কৃষক শামসুল আলম।
শহরের সাহেবপাড়া, বাঁশাবড়ি আমিন মোড় এলাকায় শতবর্ষ পুরাতন এক বট গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়লে কয়েকটি দোকান, হোটেল ও বাড়িঘরের ক্ষতি হয়। এছাড়াও শহরের হাতীখানা বানিয়াপাড়া এলাকায় বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে ও ঠাল ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুটিতে আটকে পরে। স্থানীয়রা জানায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোক সকালে এসে তা সড়িয়ে ফেলে এবং বিদ্যুৎ সচল করে। আমিন মোড় এলঅকার ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকজন জানান, রাতে ঝড়ে শতবর্ষী ওই বিরাট গাছটি পড়ে খাওয়ার হোটেল ও বাড়িঘড় ভেঙ্গে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল দশটায় সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে বুধবার দিবাগত রাতে ওই কালবৈশাখী ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
ঝড়ে উপজেলার কামারপুকুর, বাঙালিপুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতি এবং কয়েকটি ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, আকস্মিক ঝড়ের কারণে সৈয়দপুর উপজেলায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জানান, আমরা ক্ষতি নিরুপণ করার চেষ্টা করছি তাদেরকে সহযোগিতা করার।