নীলফামারীর ডোমারে পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগে দু’টি পুকুরের চাষের মাছ নিধন করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব খামার বামুনিয়া এলাকায়। এতে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করছেন মাছ চাষী সফিয়ার রহমান। সফিয়ার রহমান ওই এলাকার মৃত আছি মদ্দিনের ছেলে ও বামুনিয়া ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ড সদস্য।চাষীর দাবী রাতের আধারে যে কোন সময়ে দু’টি পুকুরেই গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করেছে দুস্কৃতিকারীরা।এর আগেও দুই দফায় বিষ প্রয়োগ করে ২৩লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলে দুস্কৃতিকারীরা।
বৃহষ্পতিবার(৪জানুয়ারী) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দু’টি পুকুরে কই,ট্যাংড়া ও শিং জাতের মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে আছে। প্রতিবেশীরা পুকুরে নেমে মরা মাছ সংগ্রহ করছে। অনেক মাছ পুকুর হতে তুলে মাটিচাপা দেওয়া হচ্ছে।
মাছ চাষী সফিয়ার রহমান জানান,৪০হাজার পিছ কই,৫২হাজার পিছ শিং ও ট্যাংড়া(গুলসা) জাতের মাছ ছেড়ে দিয়েছি। একমাস পরে মাছগুলো বিক্রির উপযোগী হবে। এরেই মধ্যে দুস্কৃতিকারীরা এক জানুয়ারী দিবাগত রাতে বিষ প্রয়োগ করে আমার চাষের মাছগুলো মেরে ফেললো।এর আগে ২০২৩সালে প্রায় ৮৫মন ও ২০২০সালে প্রায় ২শত ৫০মন মাছ নিধন করে দৃস্কৃতিকারীরা।এব্যাপারে থানায় সাধারন ডায়েরী করা হলেও ২০২৩সালের ঘটনায় পাশ^বর্তী এলাকার শাহজাহান পিতা হাফিজ উদ্দিনের নামে একটি এজাহার দায়ের করেছিলাম। তিনি আরো জানান, ৩দফায় প্রায় ৩৩ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হতে ২২লক্ষ টাকা মর্গেজ লোন নিয়ে আমি এই প্রজেক্টটি করেছি। এখন কিভাবে ব্যাংকের লোন পরিশোধ করবো তার কোন পথ পাচ্ছি না।
এব্যাপরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনূর রশীদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।পুকুরের পানি পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হলে, তারা পানি পরিবর্তন করে। তারপরেও মাছগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।