নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর দাবিতে যৌথসভা করেছে জেলার সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন। বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কে›ন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনুর, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোকছেদুল মোমিন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আবুল কালাম বারী পাইলট প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে গত দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শওকত চৌধুরী এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে তাঁরা নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করেন। পাশপাশি নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত হওয়ায় ভুলে যান এলাকার উন্নয়নের কথা। তাই আমরা এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলের (আওয়ামী লীগের) প্রার্থীর দাবি জানাচ্ছি। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিজয় নিশ্চিৎ হবে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, ‘ নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে খ্যাত। মহাজোটের কারণে গত দুই মেয়াদে এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে আমরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছি। কিন্তু তাঁরা এলাকাবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করেছেন। তাদের কর্মকাণ্ডে সকল নেতাকর্মী হতাশ। তাই আমরা চাই আমাদের এ আসনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্শণ করে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমরা এ যৌথ সভার আয়োজন করেছি।’