১০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ফ্যান ও পাম্পের মোটর এটিও ও প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে

সৈয়দপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ গোপনে বিক্রি অভিযোগ

প্রতিষ্ঠানের পুরাতন বেঞ্চ গোপনে বিক্রি করে টাকা পকেটস্থ করাসহ ৫ টি নতুন ইলেকট্রিক পাখা (ফ্যান) ও পানির পাম্প চালানোর মোটর নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন।

এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম শিল্পি ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মরিয়ম নেছার বিরুদ্ধে। এছাড়াও নানা অনিয়ম রয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন স্কুলটির জমিদাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম পাটোয়ারী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৩ মাসেও এ সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ নেননি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি ও ক্লাস্টার অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মরিয়ম নেছা এই অনিয়মের সাথে জড়িত। তাই তিনি এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ধামাচাপা দিয়ে থামিয়ে রেখেছেন।

রেজাউল করিম পাটোয়ারী বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটি গড়েছি। সর্বশেষ আমার প্রচেষ্ঠায় রেজিস্ট্রার স্কুল থেকে সরকারিকরণসহ নতুন একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ পেয়েছি। অথচ এই ভবন নির্মাণ করা হলো কিন্তু আমাকে একবারের জন্যও এবিষয়ে সম্পৃক্ত করা দূরের ব্যাপার জানানোও হয়নি। বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর উদ্বোধন করা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেও জানায়নি। শাহনাজ বেগম শিল্পী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আসার পর থেকে এভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই প্রধান শিক্ষকের সাথে আতাত করে ঠিকাদার নিম্ন মানের কাজ করে। এতে এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি উল্টো তাদেরকেই হেনস্থা করেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদারের কাছ থেকে। পুরাতন অনেকগুলো বেঞ্চ গোপনে বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা তসরুপ করেছেন। কয়েকটি পুরাতন ফ্যান নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মেকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিক্রি করে দিয়েছেন। একটা স্পিকার সেটও লাপাত্তা। এটিও মরিয়ম নেছাও এই দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত।

এছাড়াও নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ ১২ টি নতুন ফ্যানের ৭ টি স্কুলে লাগানো হলেও ৫ টি নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এমনকি পানির পাম্পের মোটরও নিয়ে গেছেন। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হয়ে আছে। শিশু শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে আগের মতই কষ্ট করে টিউবওয়েল চেপে পানির প্রয়োজন মেটাচ্ছে। শিক্ষক-অভিভাবকরাও প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে। বিশেষ করে দোতলায় পানি সরবরাহ না থাকায় প্র¯্রাব-পায়খানার জন্য নিচে নেমে কোমলমতি শিশুদের বাড়িতে কষ্ট করতে হচ্ছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক মাস আগে সরেজমিনে গেলে সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম শিল্পি বলেন, সাবেক সভাপতি একজন অভদ্র লোক। জমিদাতা বলে কি তাকে সবসময় সবকাজে জি হুজুর জি হুজুর করে সম্মান দিতে হবে। তিনি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকতো স্কুলটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমি এসে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন করেছি। এতে এতোদিন যারা যেনতেন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও লুটেপুটে খেয়েছেন তাদের অসুবিধা হয়েছে। তাই মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

ফ্যান ও মোটরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওগুলো আছে। চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এটিও ম্যাডামের পরামর্শে আমাদের কাছে রেখেছি। প্রয়োজন হলে এনে লাগানো হবে। নিরাপত্তার জন্য কি আমরা এটা করতে পারিনা। চুরি হলে তখন কে দিবে? তাহলে তো যে ফ্যানগুলো লাগানো আছে সেগুলোও চুরির আশঙ্কা আছে। সেক্ষেত্রে সেগুলোওতো আপনাদের হেফাজতে রাখা উচিত। কি বলেন? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এটিও মরিয়ম নেছার সাথে কথা বলতে বলেন। এক পর্যায়ে নিজের মুঠোফোন থেকে কল দিয়ে তার (এটিও) সাথে কথা বলিয়ে দেন।

এসময় এটিও মরিয়ম নেছা বলেন, এতদিন পর কার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনারা এসেছেন? একটা ভূয়া মানুষের ভূয়া অভিযোগ নিয়ে এতদূর নাড়াচাড়া ঠিক নয়। স্কুল ছুটি থাকায় জিনিসগুলো আমাদের জিম্মায় রেখেছি। কোথায় আছে, আপনার বাসায় না অফিসে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং এবিষয়ে আর কিছু বলবেন না জানান।

পরে নিজে কল করে বলেন, সভাপতি হয়ে কি নিরাপত্তার স্বার্থে এটুকু করা যাবেন। তাছাড়া রেজুলেশন করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে যেহেতু আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্যান ও মোটর প্রতিষ্ঠানে ফেরত আনা হবে এবং সেখানেই রাখা হবে। কিন্তু একমাস পার হলেও তিনি তা করেননি।

একমাস পর বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. শফিকুল আলমের অফিসে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা সুরাহার জন্য এটিও মরিয়ম নেছাকে দায়িত্ব দিয়েছি। এমন সময় হঠাৎ এটিও মরিয়ম নেছা সেখানে উপস্থিত হলে টিও তাকে দেখিয়ে দেন। তখন তার (এটিও) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্যানগুলো স্কুলে লাগানো হয়েছে আর মোটর এখনো আমার কাছে আছে। তবে টিউবওয়েল দেয়া হয়েছে।

অথচ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্কুলে ফ্যানগুলো নেয়া বা লাগানো হয়নি। মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য নুরন্নবী সরকার। এমতাবস্থায় এবিষয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তদন্ত করে এহেন মিথ্যেচার ও প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী যথেচ্ছ ব্যবহার বা আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় পক্ষে আন্দোলনে লম্বা ছুটিতে সাবরেজিস্টার, ভোগান্তিতে জমি দাতা ও গ্রহীতারা

ফ্যান ও পাম্পের মোটর এটিও ও প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে

সৈয়দপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ গোপনে বিক্রি অভিযোগ

প্রকাশিত ০৭:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিষ্ঠানের পুরাতন বেঞ্চ গোপনে বিক্রি করে টাকা পকেটস্থ করাসহ ৫ টি নতুন ইলেকট্রিক পাখা (ফ্যান) ও পানির পাম্প চালানোর মোটর নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করছেন।

এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের শিশু মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম শিল্পি ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মরিয়ম নেছার বিরুদ্ধে। এছাড়াও নানা অনিয়ম রয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন স্কুলটির জমিদাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম পাটোয়ারী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৩ মাসেও এ সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ নেননি। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি ও ক্লাস্টার অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মরিয়ম নেছা এই অনিয়মের সাথে জড়িত। তাই তিনি এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ধামাচাপা দিয়ে থামিয়ে রেখেছেন।

রেজাউল করিম পাটোয়ারী বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটি গড়েছি। সর্বশেষ আমার প্রচেষ্ঠায় রেজিস্ট্রার স্কুল থেকে সরকারিকরণসহ নতুন একটি বহুতল ভবন বরাদ্দ পেয়েছি। অথচ এই ভবন নির্মাণ করা হলো কিন্তু আমাকে একবারের জন্যও এবিষয়ে সম্পৃক্ত করা দূরের ব্যাপার জানানোও হয়নি। বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর উদ্বোধন করা ও ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেও জানায়নি। শাহনাজ বেগম শিল্পী প্রধান শিক্ষক হিসেবে আসার পর থেকে এভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই প্রধান শিক্ষকের সাথে আতাত করে ঠিকাদার নিম্ন মানের কাজ করে। এতে এলাকার লোকজন প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি উল্টো তাদেরকেই হেনস্থা করেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ঠিকাদারের কাছ থেকে। পুরাতন অনেকগুলো বেঞ্চ গোপনে বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা তসরুপ করেছেন। কয়েকটি পুরাতন ফ্যান নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মেকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বিক্রি করে দিয়েছেন। একটা স্পিকার সেটও লাপাত্তা। এটিও মরিয়ম নেছাও এই দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত।

এছাড়াও নতুন ভবনের জন্য বরাদ্দ ১২ টি নতুন ফ্যানের ৭ টি স্কুলে লাগানো হলেও ৫ টি নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। এমনকি পানির পাম্পের মোটরও নিয়ে গেছেন। ফলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হয়ে আছে। শিশু শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে আগের মতই কষ্ট করে টিউবওয়েল চেপে পানির প্রয়োজন মেটাচ্ছে। শিক্ষক-অভিভাবকরাও প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে। বিশেষ করে দোতলায় পানি সরবরাহ না থাকায় প্র¯্রাব-পায়খানার জন্য নিচে নেমে কোমলমতি শিশুদের বাড়িতে কষ্ট করতে হচ্ছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক মাস আগে সরেজমিনে গেলে সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম শিল্পি বলেন, সাবেক সভাপতি একজন অভদ্র লোক। জমিদাতা বলে কি তাকে সবসময় সবকাজে জি হুজুর জি হুজুর করে সম্মান দিতে হবে। তিনি ও সাবেক প্রধান শিক্ষকতো স্কুলটাকে শেষ করে দিয়েছে। আমি এসে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন করেছি। এতে এতোদিন যারা যেনতেন ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও লুটেপুটে খেয়েছেন তাদের অসুবিধা হয়েছে। তাই মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

ফ্যান ও মোটরের বিষয়ে তিনি বলেন, ওগুলো আছে। চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এটিও ম্যাডামের পরামর্শে আমাদের কাছে রেখেছি। প্রয়োজন হলে এনে লাগানো হবে। নিরাপত্তার জন্য কি আমরা এটা করতে পারিনা। চুরি হলে তখন কে দিবে? তাহলে তো যে ফ্যানগুলো লাগানো আছে সেগুলোও চুরির আশঙ্কা আছে। সেক্ষেত্রে সেগুলোওতো আপনাদের হেফাজতে রাখা উচিত। কি বলেন? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এটিও মরিয়ম নেছার সাথে কথা বলতে বলেন। এক পর্যায়ে নিজের মুঠোফোন থেকে কল দিয়ে তার (এটিও) সাথে কথা বলিয়ে দেন।

এসময় এটিও মরিয়ম নেছা বলেন, এতদিন পর কার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনারা এসেছেন? একটা ভূয়া মানুষের ভূয়া অভিযোগ নিয়ে এতদূর নাড়াচাড়া ঠিক নয়। স্কুল ছুটি থাকায় জিনিসগুলো আমাদের জিম্মায় রেখেছি। কোথায় আছে, আপনার বাসায় না অফিসে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং এবিষয়ে আর কিছু বলবেন না জানান।

পরে নিজে কল করে বলেন, সভাপতি হয়ে কি নিরাপত্তার স্বার্থে এটুকু করা যাবেন। তাছাড়া রেজুলেশন করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে যেহেতু আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই ফ্যান ও মোটর প্রতিষ্ঠানে ফেরত আনা হবে এবং সেখানেই রাখা হবে। কিন্তু একমাস পার হলেও তিনি তা করেননি।

একমাস পর বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. শফিকুল আলমের অফিসে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা সুরাহার জন্য এটিও মরিয়ম নেছাকে দায়িত্ব দিয়েছি। এমন সময় হঠাৎ এটিও মরিয়ম নেছা সেখানে উপস্থিত হলে টিও তাকে দেখিয়ে দেন। তখন তার (এটিও) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্যানগুলো স্কুলে লাগানো হয়েছে আর মোটর এখনো আমার কাছে আছে। তবে টিউবওয়েল দেয়া হয়েছে।

অথচ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্কুলে ফ্যানগুলো নেয়া বা লাগানো হয়নি। মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য নুরন্নবী সরকার। এমতাবস্থায় এবিষয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তদন্ত করে এহেন মিথ্যেচার ও প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী যথেচ্ছ ব্যবহার বা আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আহŸান জানিয়েছেন তারা।