আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩৫ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা সাধারন। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে ফুলবাড়ী পৌরবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত ইন্দ্রোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিদরে। অথচ গত তিন দিন আগেও একই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিদরে। একইভাবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিদরে। যা তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে।
পৌর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আলাল হোসেন বলেন, রাত পোহালেই যেন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন। কি কারণে এবং কোন সংকটে দাম বাড়ছে। গত ক’দিন আগে যে পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিদরে কিনেছি, সেই পেঁয়াজ আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কিনতে হলো ৫০ টাকা কেজিদরে।
অপর পেঁয়াজ ক্রেতা হীরেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপণ্যের যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে করে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।
হোটেল ব্যবসায়ি উজ্জ্বল মহন্ত বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হোটেলের তরি তরকারিতে প্রয়োজনের চেয়ে পেঁয়াজ কম দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তরি তরকারির সাধ একটু নষ্ট হলেও করার কিছুই নেই। পরিমাণ মতো পেঁয়াজ দিতে গেলে আর্থিকভাবে লোকসান গুণতে হবে।
খুচরা সবজি বিক্রিতা শ্যামল চন্দ্র বগা বলেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বলেই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে কমদামে পাওয়া গেলে খুচরা বাজারেও দাম কমে আসবে।
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মেহেদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখা হবে।