বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলের নামে থাকা তিনটি উন্নয়ন একাডেমির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার (ইসি) সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ‘বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, গোপালগঞ্জ’–এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, গোপালগঞ্জ’ করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন অন্যান্য সমধর্মী প্রতিষ্ঠান, যেমন: পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া; বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নামকরণের উদ্দেশ্যে এই নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একই লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাতে ‘শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর’–এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, জামালপুর’ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ‘শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর’–এর নাম পরিবর্তন করে ‘পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, রংপুর’ করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ইসির অধীনেই এনআইডি
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ পরিমার্জন করে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও এ-সংক্রান্ত সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হাত থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে আইন পাস হয়েছিল। সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে যে তারিখ নির্ধারণ করবে, সে তারিখ থেকে এই আইন কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত ইসির মাধ্যমেই হচ্ছে।
আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, এনআইডির কাজটি ইসির অধীনে চলতে থাকবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়াও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।