নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের উপর গড়ে উঠেছে অস্থায়ী শীত বস্ত্রের দোকান। ওই দোকানগুলো গরীব-অসহায় মানুষের ভরসাস্থল হলেও ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষজনের প্রাণহানির আশংকায় পরিনত হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২শ’ গজ দুরে বিছিন্নভাবে সৈয়দপুর প্রধান ডাকঘর ঘেঁষে এবং দক্ষিণ দিকে আরও ২শ’ গজ দুরে রেললাইনের দুই ধারে গড়ে ওঠা এসব দোকানে শত শত নারী ও পুরুষ ভীড় করছে। এতে জন-জটরায় ট্রেন চলাচলে প্রতিমুগুর্তে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনা রোধে দোকানগুলো সরাতে রেলওয়ে পুলিশকে (জিআরপি) লিখিতভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এত করে প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে। জানা যায, রেললাইনের উভয় পাশে কমপক্ষে ২শ’ ফুট করে জায়গা ফাঁকা রাখার বিধান রয়েছে। সে অনুয়ায়ী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলপথের উভয় পাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রেখেছে। কিন্তু এসব জায়গা চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারের কবলে।
সৈয়দপুর লেওয়ে স্টেশনের উল্লেক্ষিত ডাকঘর সংলগ্ন অত্যান্ত জনবহুল এলাকা হওয়ায় ওই স্থানে প্রায়শই ট্রেনে কাটা পড়ে অসংখ্য প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) তথ্য অনুযায়ী দূর্ঘটনাপ্রবণ এই এলাকায় প্রায় ছোট বড় প্রাণহানী হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, রেল লাইনের উপর ওই এলাকাতে রয়েছে প্রায় ২শত পুরাতন কাপড়ের দোকান। অবৈধ দখলদাররা এলাকাটিতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে রেলপথে এসব দোকানকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভিড়। সেইসাথে জন-জটলায় ট্রেন চলাচলেও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, স্টেশন মাষ্টার এসব দোকান উচ্ছেদে বার বার রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) অনুরোধ জানালেও অজ্ঞাত কারণে ওইসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে না। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ওইসব দোকানদারদের নিকট অর্থ আদায় করে একটি মহল। এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন-নবী বলেন, আমরা রেলওয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বার বার উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু পূনরায় তারা দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে। আর কে অর্থ আদায় করে তা জানিনা।