নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দিনভর দীর্ঘ যানজন যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীসহ শহরে আগত সর্বস্তরের মানুষকে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে রাস্তায় আটকা পড়ে চলাচলে নাকাল যাত্রী ও চালকসহ পথচারীরা। এই ভোগান্তি লাঘবে ট্রাফিক পুলিশ, পৌর প্রশাসন ও উপজেলা কর্তৃপক্ষ বিফল হওয়ায় অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে এই পরিস্থিতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
এমতাবস্থায় যানজট নিরসনে সড়কে নেমেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দসহ কর্মীরা বুধবার (৯ অক্টোবর ) রাত ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড় থেকে শহীদ তুলশীরাম সড়ক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার জুড়ে ট্রাফিকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে ওই সড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে শহীদ তুলশীরাম সড়কের ইসলামী ব্যাংক সংলগ্ন দূর্গাপুজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের আগমনে কষ্টের লাঘব হয় এবং সাধারণ মানুষ চলাচলে স্বস্তি ফিরে পায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর শহর শাখার আমীর শরফুদ্দিন খানের নেতৃত্বে এই ট্রাফিকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সৈয়দপুর শহর সভাপতি আব্দুল মোমেন, কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ আলাল, পৌর ১৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সাবেক সভাপতি আখতার হোসেন, ১৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের সৈয়দপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিদ শামিমসহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী।
কার্যক্রম বিষয়ে শহর আমীর শরফুদ্দিন খান বলেন, সৈয়দপুর শহরের যানজটের মূলে হলো ফুটপাতগুলো দখল করে দোকানের মালামাল রাস্তার মধ্যস্থল পর্যন্ত রাখা ও অবৈধ দোকান বসানো, শহরে অতিরিক্ত চার্জার অটোরিক্সা এবং দিনের বেলায় ভাড়ি যানবাহন প্রবেশ, যেখানে সেখানে লোড-আনলোড করাসহ যত্রতত্র স্ট্যান্ড স্থাপন. ট্রাফিক আইন না মেনে ইচ্ছেমাফিক গাড়ি ঘোরানো। এসব নিরসন করা হলেই যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ তথা স্বাভাবিক করা সম্ভব। কিন্তু পৌর প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশ তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে পৌরবাসী ও দোকান মালিকদের সচেতনতা প্রয়োজন।
তিনি আশা প্রকাশ করে আরও বলেন, যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হলে এক্ষেত্রে উন্নতি করা সম্ভব হবে। সেজন্য সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি। সেই সাথে সৈয়দপুরের সকল ব্যবসায়ী ও যানবাহন চালকদের প্রতি নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান এবং সচেতনা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহনের প্রস্তাব দেন।