নীলফামারীতে বাজার মনিটরিং এ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা

দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ এবং বাজার অস্থিতিশীল প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার শিক্ষার্থী ও জনতা।
শনিবার (১০ আগষ্ট) সকালে নীলফামারী জেলা শহরের শাখামাছা বাজারে গিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। এসময় চাল, আটা, মাছ, মাংস, মরিচ, পেঁয়াজ কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দরে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করার আহবান জানান তারা।
বৈষম্য বিরোধী নীলফামারী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার নেতা স্বরণ বলেন, সরকার কতৃক নির্ধারিত মূল্যের চার্ট প্রত্যেক দোকানে টাঙ্গাতে হবে। মেমো বহিভূত কোন প্রকার পণ্য দোকানে বেচাকেনা করা যাবে না। তবে কিছু পণ্যের দাম অন্তবর্তি সরকারের উপদেষ্ঠারা আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, লবন মোটা প্যাকেট প্রতি কেজি ৩০ টাকা, সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ টাকা, পে্েরট্রাল প্রতি লিটার ১২৫ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা।
এছাড়াও, দুধ (শহরে) প্রতি কেজি ৬০ টাকাও গ্রামে প্রতিকেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রির জন্য ঘোষনা দিয়েছেন। ছাত্ররা প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক দোকানদারকে ওজনে কম না দেয়াসহ ন্যায্য মূল্যে এসব পণ্য কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করেন।
ছাত্র নেতা তামিম বলেন, একশ্রেণীর অসাধ্য ব্যবসায়ি বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নিজের ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের পর আমরা ছাত্র জনতা মিলে ভোক্তাদের স্বস্তি ফেরাতে বাজারে কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা শহরে বড় বাজারের মোদি ব্যবসায়ী আবু সাইদ মিলন জানান, এস আলম কোম্পানি থেকে মালামাল ক্রয় করলে মেমো বা প্রাপ্তি রশিদ দেয় না। এছাড়াও প্রতি ড্রামে (১৮৬ কেজি) তিন থেকে চার কেজি করে সোয়াবিন তেল কম দেয়। তারা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকলে ভোক্তরা স্বস্তি ফিরে পাবে। কোম্পানী মালিকরা সুযোগের সৎ ব্যবহার করে বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে। এ অবস্থায়, ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
অপরদিকে, একই বাজারের মোদি ব্যবসায়ী তাপস কুমার ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও মালটি গ্রুপ প্রতি ড্রামে কম দেয় এককেজি করে। আর প্রভাব পড়ে ভোক্তাদের ওপর। তেলা কেনার পর মেমো বা রশিদ চাইলে উল্টো ঝাড়ি (গালমন্দ) খাইতে হয় তাদের। বিশেষ করে দেশের মৌলভি বাজার ও খাতুন গঞ্জের বড় বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে রেখে বাজারে ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে।

  • Related Posts

    নতুন বছরে সোনার দামে রেকর্ড

    নতুন বছর শুরুর পর প্রথমবারের মতো দেশের বাজারে ফের বেড়েছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দাম বাড়ানোর…

    Continue reading
    বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের সুপারিশ

    ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আর প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ করার প্রস্তাবও করেছে কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন…

    Continue reading

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    মুক্ত মতামত

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    ‘রাজাকার’ ইস্যু বানিয়ে একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করেও কি কোটা ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়া যায়?

    কোটা পুনর্বহালে স্থিতাবস্থা মানে কি?

    প্রধানমন্ত্রীর সফরে পাঁচ মূলনীতির উন্নয়ন করতে চায় চীন

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি