স্বামীর বাড়ি থেকে পিত্রালয়ে যাওয়ার পথে কোচের ধাক্কায় বিউটি বেগম (২৩) নামে এক নারী নিহত ও তাঁর আড়াই বছরের শিশু পুত্র রায়হান আলী এবং ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যানের চালক হাফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছে। এ সড়ক দূর্ঘটনাটি আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপু্রের চিরিরবন্দর উপজেলার দশমাইল-সৈয়দপুর মহাসড়কে ফতেজংপুর ইউনিয়নের মন্টুশাহর মোড় নামক স্থানে ঘটেছে।
জানা গেছে, ওই সময় উপজেলার গ্রামীণ শহর রানীরবন্দর থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান যোগে বিউটি বেগম তাঁর শিশু পুত্র রায়হান আলীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার ক্যানেলের বাজারে পিত্রালয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের মন্টুশাহর মোড় নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীতদিক থেকে আসা দ্রুতগামী হানিফ পরিবহন নামে একটি বাস রিকশাভ্যানটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে কোচের ধাক্কায় রিকশাভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিকশাভ্যানের আরোহী বিউটি বেগম মারা যান এবং শিশু পুত্র রায়হান আলীসহ রিকশাভ্যানচালক হাফিজুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। নিহত বিউটি বেগম চিরিরবন্দর উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের খোচনা গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে আপেলের স্ত্রী ও ছেলে রায়হান আলী এবং আহত রিকশাভ্যানচালক হাফিজুল ইসলাম নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া থাটারিপাড়ার বর্তমান চিরিরবন্দর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ সড়ক দূর্ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে অন্তত দেড় ঘন্টাব্যাপি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে চিরিরবন্দর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দশমাইল হাইওয়ে থানা পুলিশের দায়িত্বরত এস আই মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আপত্তি না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক কোচটির পরিচয় সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।