রংপুর আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ-বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩রা জুন) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ মামুন অর রশিদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গণমাধ্যম হলো সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম যত শক্তিশালী হবে, রাষ্ট্র তত শক্তিশালী হবে। সমাজ তথা রাষ্ট্রের উন্নয়নে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সাংবাদিকগণকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবু জাফর বলেন, সংবাদপত্র হচ্ছে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। গণমাধ্যম দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই সমাজের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসঙ্গতি তুলে ধরে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিকদের সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় সিনিয়র তথ্য অফিসার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রান্তিক ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী থাকবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে অতিমাত্রায় প্রযুক্তিনির্ভর। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল যেমন কাজে লাগাতে হবে, তেমনি চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের পেশাদার ও সাহসী ভূমিকা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমকে নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা প্রচার করার অনুরোধ জানান।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে গণমাধ্যমকে আগেই স্মার্ট হতে হবে। স্মার্ট প্রযুক্তি ও স্মার্ট সাংবাদিক ছাড়া স্মার্ট গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমকে স্মার্ট ও সময়োপযোগী করতে সাংবাদিকগণ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় রংপুর আঞ্চলিক তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস সুরভী, সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ রুপাল মিয়া ও রংপুরের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।