শনিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ই-পেপার
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ধর্ম
  13. প্রযুক্তি
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে নাকি ষড়যন্ত্রের নতুন জালবুনবে?

প্রতিবেদক
বার্তা প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ ৩:১০ অপরাহ্ণ

প্রফেসর ড. জাহিদুল হাসান

নির্বাচন, হউক সেটা জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বাঙ্গালী জাতি হিসাবে সবসময়ই অন্যরকম এক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তন্মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনগুলোতে এই আগ্রহের মাত্রা বহুগুণে বেড়ে যায়। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে থাকে এবং স্থানীয় জনগণ এদেরকে বেছে নেন।

এই প্রেক্ষাপটে এদেশে উপজেলা নির্বাচনসহ অন্যান্য সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করবে এটা অবশ্যই আশা করি আর বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দায় থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করি। কারণ প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলই দেশের জনগণের দোহায় দিয়ে রাজনীতি করেন, তাই এদেশের সাধারণ মানুষের কাছে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য তো বটেই।

তবে এখানে উল্লেখ্য যে, বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ভাষ্যমতে বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার কতটা সুফল বয়ে আনতে পেরেছেন তা স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশের অন্যান্য জনগণের নিকটতা খুবই পরিষ্কার।

এমনকি গত ৭ই জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আরও একবার হঠকারিতার পরিচয় দিয়েছে দলটি। নিশ্চয় এক্ষেত্রে বলবেন বিএনপির ডাকে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি, বিএনপি নেতৃবৃন্দের তথ্যমতে মোট ভোট পড়েছে শতকরা ৫ ভাগ -তাহলে দেশের ৯৫ ভাগ জনগণ আপনাদের কথা শুনেছে- তাহলে এটাতো বলা যায় যে, বিএনপির উচিত ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এতো বিশাল জনগোষ্ঠীর রায় আপনাদের পক্ষে প্রকাশ করার সুযোগ সৃষ্টি করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বিএনপি সেই কাজটুকু করেননি- যা নিছক অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

আরেকটা অন্যভাবে যদি বলি, দেশের অনেক মানুষ আছে যারা গণতন্ত্রের মতো কঠিন কোন শব্দ ব্যবহারে পারদর্শী না কিন্তু একটা জিনিস বুঝে সেটি হলো সেরা জিনিসটা বেছে নেয়া। যার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে জনগণের সম্মুখে তাদের নিজ নিজ দলের সেরা ব্যক্তিটিকে মনোনয়ন দিয়ে সেই ব্যক্তিটির নিজের তথা দলের গ্রহণযোগ্যতার যাচাই করা।

একটি কথা দৃঢ়তার সহিত বলতে পারি আজকের এই বাংলাদেশ সর্বদিক থেকেই এক গর্ভের বাংলাদেশ- যার সকল সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করছি। তাই আমি মনে করি বিএনপি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কিছু বাক্যাবলীর হিসাব নিকাশের মধ্যে নিমজ্জিত না থেকে স্থানীয় জনগণ এবং কর্মীদের মনোভাবের যথাযথ মূল্যায়ন সাপেক্ষে সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

আমি হলফ করে বলতে পারি স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীরা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারবেনা কেননা এই সমস্ত তৃনমূল নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব এলাকার জনগণের নিকট অনেক বেশী দায়বদ্ধ এবং নির্বাচনে যেতে আগ্রহী।

যার সুস্পষ্ট উদাহরণ গত ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন যেখানে বিএনপির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বাহবা কুড়িয়েছে। বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো সংগঠন গোছানো।

বিএনপি মনে করছে যেহেতু এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হলে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীদের দল উপেক্ষাও করবে না। এর ফলে তৃণমূলে সংগঠন গোছানোর একটি বড় সুযোগ পাবে। কারণ এমনিতেই গ্রেপ্তার মামলায় বিএনপি এখন বিপর্যস্ত। দলের সাংগঠনিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এমন অবস্থায় নেতাকর্মীরা নির্বাচন করার সুযোগ পেলে তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী হবে। বিএনপি উপজেলা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলে দলের নেতাকর্মীরা আবার সক্রিয়  এবং উজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এবার উপজেলা নির্বাচনে না গেলে যে ভুল হবে তা কাটিয়ে ওঠা বিএনপির জন্য কঠিন হবে।

পাশাপাশি, যদি নির্বাচনের পথ পরিহার করে ষড়যন্ত্রের কোন কৌশল করার চেষ্টা করে তাহলে আজকের এই উন্নত বাংলাদেশের রুচিশীল তরুণ সমাজ কোনভাবেই তা গ্রহণ করবেনা।

এদেশের জনগণকে কোন রাজনৈতিক দলই বোকা বানাতে পারবেনা। কারণ, মানুষ এখন অনেক সচেতন, সময়ের মূল্য দিতে শিখেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখেছে। তাই পূর্বের ন্যায় কোন আগুন-সন্ত্রাস, কিংবা যানবাহন পুড়িয়ে জানমালের ধ্বংস করে সেই জনগণের জন্যই রাজনীতি করার কৌশল আর হালে পানি পাবে না বলেই আমি মনে করি।

পরিশেষে বিএনপি সকল ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দেশে রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় শামিল হওয়ার লক্ষ্যে দেশে অনুষ্ঠিতব্য সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজ দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

লেখক: প্রফেসর, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। 

সর্বশেষ - নীলফামারী

আপনার জন্য নির্বাচিত

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মশিউর গ্রেপ্তার

ফুলবাড়ীতে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

তারুণ্যের উৎসব ঘিরে মঙ্গলবার নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।

নীলফামারীতে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে নানা ধরনের সামগ্রী বিতরণ

বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

নীলফামারীতে পাট ও পাটবীজ উৎপাদন শীর্ষক দিনব্যপি প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বোদায় শীতার্তদের মাঝে ৪ শতাধিক কম্বল বিতরণ

দাপুটে জয় পেয়েছে হৃদয়ের দল জাফনা কিংস

কিশোরগঞ্জে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেললাইনে ৪ স্থানে ফাটল, স্থানীয়রা আতঙ্কিত

ফুলবাড়ীতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা