প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের আগামী নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। যদিও এটা আগে বলে দিয়েছি, তবে এটাই হবে আমাদের মেইন, অর্থাৎ বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, দেশের সব মানুষ উন্নত জীবন পাবে।সোমবার (১৫ মে) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন মোবাইল ফোন যখন ব্যবহার করেন, সেটাইতো স্মার্টনেস। আপনারা তো নিজেই তো স্মার্ট হয়ে গেছেন। এখন তো কৃষক ছবি তোলে, সেন্টারে নিজে ছবি পাঠায়। কখন কী সার ব্যবহার করবেন, কখন কী ব্যবস্থা নেবেন।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বিশেষায়িত লোক আমরা করব এবং সেভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ।’এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যাশলেস সোসায়টি বাংলাদেশ নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যাশলেস সোসাইটি হবে।’জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানে জনশক্তি রপ্তানি আমরা করতাম না, করি না। আর জাপান চায় দক্ষ জনশক্তি ও শিক্ষিত। আরেকটা বিষয় হচ্ছে জাপানের ভাষা। জাপানে কাজ করতে হলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে। আমাদের যারা জাপানি ভাষা শিখবে তারাই যেতে পারবে। আর যে কাজে যাবে তার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ট্রেনিং নিতে হবে। তবেই জাপানে যেতে পারবে। তাহলে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা দেশটিতে যেতে চায় তারা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করেন না, সেটাই সমস্যা হয়ে যায় আমাদের। অন্য কোনো অসুবিধা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন মোবাইল ফোন যখন ব্যবহার করেন, সেটাইতো স্মার্টনেস। আপনারা তো নিজেই তো স্মার্ট হয়ে গেছেন। এখন তো কৃষক ছবি তোলে, সেন্টারে নিজে ছবি পাঠায়। কখন কী সার ব্যবহার করবেন, কখন কী ব্যবস্থা নেবেন।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বিশেষায়িত লোক আমরা করব এবং সেভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ।’এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যাশলেস সোসায়টি বাংলাদেশ নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যাশলেস সোসাইটি হবে।’জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানে জনশক্তি রপ্তানি আমরা করতাম না, করি না। আর জাপান চায় দক্ষ জনশক্তি ও শিক্ষিত। আরেকটা বিষয় হচ্ছে জাপানের ভাষা। জাপানে কাজ করতে হলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে। আমাদের যারা জাপানি ভাষা শিখবে তারাই যেতে পারবে। আর যে কাজে যাবে তার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ট্রেনিং নিতে হবে। তবেই জাপানে যেতে পারবে। তাহলে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা দেশটিতে যেতে চায় তারা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করেন না, সেটাই সমস্যা হয়ে যায় আমাদের। অন্য কোনো অসুবিধা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন মোবাইল ফোন যখন ব্যবহার করেন, সেটাইতো স্মার্টনেস। আপনারা তো নিজেই তো স্মার্ট হয়ে গেছেন। এখন তো কৃষক ছবি তোলে, সেন্টারে নিজে ছবি পাঠায়। কখন কী সার ব্যবহার করবেন, কখন কী ব্যবস্থা নেবেন।’প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বিশেষায়িত লোক আমরা করব এবং সেভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ।’এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যাশলেস সোসায়টি বাংলাদেশ নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্যাশলেস সোসাইটি হবে।’জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানে জনশক্তি রপ্তানি আমরা করতাম না, করি না। আর জাপান চায় দক্ষ জনশক্তি ও শিক্ষিত। আরেকটা বিষয় হচ্ছে জাপানের ভাষা। জাপানে কাজ করতে হলে জাপানি ভাষা শিখতে হবে। আমাদের যারা জাপানি ভাষা শিখবে তারাই যেতে পারবে। আর যে কাজে যাবে তার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ট্রেনিং নিতে হবে। তবেই জাপানে যেতে পারবে। তাহলে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা দেশটিতে যেতে চায় তারা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করেন না, সেটাই সমস্যা হয়ে যায় আমাদের। অন্য কোনো অসুবিধা নেই।
https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?us_privacy=1—&client=ca-pub-5450504941871955&output=html&h=280&adk=2081484752&adf=1411225299&pi=t.aa~a.4131215275~i.14~rp.1&w=695&fwrn=4&fwrnh=100&lmt=1684161610&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=2214067286&ad_type=text_image&format=695×280&url=https%3A%2F%2Fwww.abnews24.com%2Fpolitics%2F231067%2F%25E0%25A6%2586.%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259A%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2580-%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%2598%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25A3%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259F-%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2582%25E0%25A6%25B2%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B6-%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25A7%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2580&fwr=0&pra=3&rh=174&rw=695&rpe=1&resp_fmts=3&wgl=1&fa=27&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMC4xLjAiLCJ4ODYiLCIiLCIxMDkuMC41NDE0LjEyMCIsW10sMCxudWxsLCIzMiIsW1siTm90X0EgQnJhbmQiLCI5OS4wLjAuMCJdLFsiR29vZ2xlIENocm9tZSIsIjEwOS4wLjU0MTQuMTIwIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjEwOS4wLjU0MTQuMTIwIl1dLDBd&dt=1684161609629&bpp=2&bdt=3130&idt=-M&shv=r20230510&mjsv=m202305110101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3De981231be2422ead-22ba4a31acd9002e%3AT%3D1676091917%3ART%3D1676091917%3AS%3DALNI_MYb_-gWtZPG3i0hZMG9NhsMuGpV-w&gpic=UID%3D00000c00516c4002%3AT%3D1683023254%3ART%3D1684161608%3AS%3DALNI_MYAidsH_88kcAUiPMK28NnAXoI7iw&prev_fmts=728×90%2C300x250%2C0x0%2C695x280&nras=3&correlator=3651884277917&frm=20&pv=1&ga_vid=1029895266.1683615474&ga_sid=1684161608&ga_hid=2122476977&ga_fc=1&u_tz=360&u_his=3&u_h=768&u_w=1366&u_ah=728&u_aw=1366&u_cd=24&u_sd=0.9&dmc=2&adx=225&ady=1503&biw=1498&bih=666&scr_x=0&scr_y=0&eid=44773810%2C44759837%2C44759875%2C44759926%2C31074635%2C44772268%2C44788442%2C44792088&oid=2&pvsid=3107876322370630&tmod=362080676&uas=0&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fwww.abnews24.com%2F&fc=384&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1366%2C0%2C1366%2C728%2C1517%2C666&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=128&bc=31&ifi=5&uci=a!5&btvi=3&fsb=1&xpc=yoM2EUYWYq&p=https%3A//www.abnews24.com&dtd=728প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, দেশে যতই ভালো কাজ হোক না কেন, তারা তা দেখে না। তারা হয়ত চোখ থাকতে অন্ধ, আরেকটা হচ্ছে হীনমন্যতা। প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হয় তাদের জ্ঞানের অভাব, না হয় দুরভিসন্ধি। প্রতিহিংসা পরায়ণতা, এটা তাদের থাকবে।তিনি আরও বলেন, রাজনীতি যখন করি, সেখানে সমালোচনা থাকবে। আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। সেভাবে করেই বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করলাম তখন ২০০৮ সালের বাংলাদেশ কি ছিল, আজকে ২০২৩ সালে কোথায় এসেছে, সেই হিসাবটা করলেই তো বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে তা জানতে পারবে। অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ ভাগ, সেটাকে ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামাতে পেরেছি। অতি দারিদ্র্য বলে কিছু নেই।শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রাইভেট সেক্টরে মোবাইল, টেলিফোন চালু করে দিয়েছিলাম। আবার টেলিফোন ছিল এনালগ, সেইগুলো ডিজিটাল করেছি। আজকে দেশে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। স্কুলে-স্কুলে এখন ডিজিটাল ল্যাব আছে। এখন মোবাইলে ফোনে কথা বলতে পারছি, ছবি পাঠাতে পারছি। এটা স্মার্টনেস না? করোনার সময় আমরা যে মানুষের কাছে নগদ সহায়তা পাঠালাম, কীভাবে পাঠিয়েছি? প্রত্যেকর নাম ও আইডি কার্ড নিয়ে একসঙ্গে সরাসরি ৩৫ লাখ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে গেলো। এখন বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ যা কিছু দিচ্ছি, সবাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলব।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন মোবাইল ফোন যখন ব্যবহার করেন, সেটাইতো স্মার্টনেস। আপনারা তো নিজেই তো স্মার্ট হয়ে গেছেন। এখন তো কৃষক ছবি তোলে, সেন্টারে নিজে ছবি পাঠায়। কখন কী সার ব্যবহার করবেন, কখন কী ব্যবস্থা নেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, দেশে যতই ভালো কাজ হোক না কেন, তারা তা দেখে না। তারা হয়ত চোখ থাকতে অন্ধ, আরেকটা হচ্ছে হীনমন্যতা। প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। হয় তাদের জ্ঞানের অভাব, না হয় দুরভিসন্ধি। প্রতিহিংসা পরায়ণতা, এটা তাদের থাকবে।তিনি আরও বলেন, রাজনীতি যখন করি, সেখানে সমালোচনা থাকবে। আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। সেভাবে করেই বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করলাম তখন ২০০৮ সালের বাংলাদেশ কি ছিল, আজকে ২০২৩ সালে কোথায় এসেছে, সেই হিসাবটা করলেই তো বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে তা জানতে পারবে। অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ ভাগ, সেটাকে ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামাতে পেরেছি। অতি দারিদ্র্য বলে কিছু নেই।শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রাইভেট সেক্টরে মোবাইল, টেলিফোন চালু করে দিয়েছিলাম। আবার টেলিফোন ছিল এনালগ, সেইগুলো ডিজিটাল করেছি। আজকে দেশে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। স্কুলে-স্কুলে এখন ডিজিটাল ল্যাব আছে। এখন মোবাইলে ফোনে কথা বলতে পারছি, ছবি পাঠাতে পারছি। এটা স্মার্টনেস না? করোনার সময় আমরা যে মানুষের কাছে নগদ সহায়তা পাঠালাম, কীভাবে পাঠিয়েছি? প্রত্যেকর নাম ও আইডি কার্ড নিয়ে একসঙ্গে সরাসরি ৩৫ লাখ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে গেলো। এখন বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ যা কিছু দিচ্ছি, সবাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে আমাদের জনগোষ্ঠী হবে ডিজিটাল। তারা অনলাইন ব্যবহার করবে। এখন অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের থেকেও অনলাইনে মতামত নেওয়া হচ্ছে। সেইভাবে দেশ এগিয়ে যাবে। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ, এখানে না বোঝার তো কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কী কারণে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে? যাদের দিয়ে (র্যাব)আমরা সন্ত্রাস দমন করলাম, জঙ্গিবাদ দমন করলাম। হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশে আর তেমন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। কারণ আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোয়েন্দা নজরদারি এবং আরও কিছু ভালো কাজ করেছে। যার ফলে আর কিছু তেমন হয়নি। এরপরও স্যাংশন কেন? সেটাই আমাদের প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো অর্থ মন্ত্রণালয়কে, কেনাকাটার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি। এখন থেকে আমাদের শর্ত থাকবে, যারা আমাদের স্যাংশন দেবে তাদের থেকে আমরা কোনও কিছু কেনাকাটা করবো না। পরিষ্কার কথা। এখানে ভয়ের কী আছে? যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে সমাধান করতে পারি।তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব, উন্নত দেশে খাবার কেনা সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে, যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নাই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার সময় আমরা মানুষকে যথেষ্ট সাহায্য করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা করেছে। তো আমাদের দুশ্চিন্তার কী আছে? কথা নাই, বার্তা নাই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে! আমরা ভয় পেয়ে বসে থাকবো কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌ বহরের ভয় দেখিয়েছিল আমরা সেটি পার করে বিজয় অর্জন করেছি। সেটি ভুললে চলবে না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এটা সেটা শুনতে হয়। আমাদের দেশের কিছু মানুষই দেশের বদনাম করে। তারা যে দুর্নীতি সহ কত অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেগুলো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না। সাংবাদিকরা খুঁজলে অনেক তথ্য পাবে। ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুর্নবাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। যদিও আমাদের সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারে কিছু ক্ষতি হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমরা যথাযথ সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পেরেছি। উপকূলের কয়েকটি জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। সেখানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।সরকারপ্রধান বলেন, যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এ ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সবকিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে আটটি চুক্তি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানো বিষয়ে সরকারের আরও কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- এ প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, যারা কোভিডের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি বা নির্বাচনী পরীক্ষায় আসতে পারেনি, তাদের ক্ষেত্রবিশেষে শিথিল করা হয়েছে। এটা হয়েও গেছে।