সোমবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ই-পেপার
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ধর্ম
  13. প্রযুক্তি
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

নীলফামারীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
নভেম্বর ২৭, ২০২৩ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

নীলফামারীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার ছয় উপজেলায় ফসলের মাঠ জুড়ে এখন ধান আর ধান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষক। সোনালী ধানের মৌঁ মৌঁ গন্ধে ভরে উঠেছে কৃষকের উঠান। তাই কৃষকের মুখে হাসির ঝিঁলিক।  
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার এক লাখ ১৩ হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে (লক্ষ্যমাত্রা ছিল) আমন ধানের চাষ হয়েছে। আর গতবার (বছর) জেলায় চাষ হয়েছিল এক লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে ৬৭  হেক্টর।
সুত্র জানায়, এরমধ্যে উফশি ৯১ হাজার ২৬৬ হেক্টর, স্থানীয় জাত ৩৪৩ হেক্টর, ও হাইব্রিড ২১ হাজার ৫৬৩ হেক্টর। স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে মাঠের ধান কাটা শেষ হবে। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন।
ছয় উপজেলায় চাষকৃত জমির পরিমান হলো, সদর উপজেলায় ২৮ হাজার ২৪৯ হেক্টর, ডোমারে ১৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর, ডিমলায় ২০ হাজার ৪২৯ হেক্টর, জলঢাকায় ২২ হাজার ৯৪৫ হেক্টর, কিশোরগঞ্জে ১৪ হাজার ৮৮৫ হেক্টর ও সৈয়দপুর উপজেলায় আট হাজার ২১৯ হেক্টর। ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার ৭৯৫ হেক্টর আমন ধান কর্তন করা হয়েছে।
জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী জানান, ‘এবার বর্ষার প্রথম দিকে আশানুরুপ বৃষ্টি না হওয়ায় স্যালো মেশিন দিয়ে সাড়ে তিন বিঘার জমির ধান রোপন করি। পরে আল্লাহর রহমতে প্রচুর বৃষ্টি নামায় আরো তিনবিঘা জমিতে ধান লাগাই। সব জমিতে উফসি জাতের রোপা আমন চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালোই হয়েছে। বাজারে দাম ভাল পেলে গত দুই বছরের ধকল কাটিয়ে উঠা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধান কাটা ও মাড়াই করতে আরো ৮-১০ দিন লাগবে।’
একই এলাকার চাষি আইয়ব আলী জানান, ‘বর্ষার শুরুতে আকাশের পানির অভাব ছিল, প্রথমের দিকে স্যালো মেশিনের পানি দিয়ে হাইব্রিট জাতের ধান লাগিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। এরপরে প্রচুর আকাশের বৃষ্টি হয়। ধান আবাদে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ধানের ফলনও বাম্পার হয়েছে। আশা করি, বিঘায় ১৬ থেকে ১৭ মন ধান হবে। শুনছি, বাজারে নাকি দামও ভাল। এবার খরচ বাদে লাভও হবে।
সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দীঘলটারি গ্রামের কালাম মিয়া জানান, ‘প্রতি বছর বর্ষায় আকাশের পানিতে ১০ থেকে ১২ বিঘা জমিতে ধান লাগাই। এবার বর্ষার শুরুতে প্রচন্ড খড়ার কারনে শ্যালো মিশন চালিয়ে ধানের চাড়া রোপন করেছিলাম। দু,একটি সেচও দিয়েছি। পরে আকাশের পর্যাপ্ত বৃষ্টি নামে। ওই বৃষ্টির পানি দিয়ে ধান লাগানো শেষ করি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সব ধান কাটাই মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারবো। বাজার দর ভাল থাকলে লাভবান হতে পারবো।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারি কর্মকর্তারা উঠান বৈঠক করে ধানের রোগবালাই দমনসহ সঠিক সময়ে কর্তনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এবার সদরে ২৮ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এতে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, ‘প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরেও গত দু-তিন বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় জাত, উফসি ও হাইব্রিটসহ গত আমন মৌসুমের তুলনায় এবার বেশী আবাদ হয়েছে ৬৭ হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে এযাবত ৫০ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান কর্তন করা হয়েছে। আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সম্পুর্ণ ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষক।’

সর্বশেষ - নীলফামারী

আপনার জন্য নির্বাচিত
ডেঙ্গুতে আরও ১১ প্রাণহানি, হাসপাতালে ভর্তি ২৭৮২

ডেঙ্গুতে আরও ১১ প্রাণহানি, হাসপাতালে ভর্তি ২৭৮২

নীলফামারীতে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি বৈঠক, তিন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

তিন বিভাগীয় কমিশনার, নীলফামারী ডিসি সহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব

মিকি আর্থারকে কোচ ঘোষণা করে চমক দেখালো রংপুর রাইডার্স

জলঢাকায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে নীলফামারীতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কর্মবিরতি

অপহরণ-মুক্তিপণ বাণিজ্য- টার্গেট মাদ্রাসার ছাত্র ॥ নীলফামারীতে গ্রেপ্তার ১

বুয়েটে টিকে থাকতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়াশীলরা

বুয়েটে টিকে থাকতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়াশীলরা

নীলফামারীতে ৫২দিনের তারুণ্যের উৎসবের সমাপ্তি