নেপালে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৪০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে জাজারকোট জেলায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
শনিবার ভোর পর্যন্ত ভূমিকম্পে জাজারকোট ও পশ্চিম রুকম প্রদেশে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত এবং বহু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভূমিকম্পে প্রাণহানি এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) -এ পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সমবেদনা জানান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য তিনটি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জাজারকোট জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার সন্তোষ রোকা জানিয়েছেন, শুধু জাজারকোটেই নিহত হয়েছেন ৯২ জন। নিহতদের মধ্যে নলগড় পৌরসভার ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও আছেন। পশ্চিম রুকুমে আহতের সংখ্যা ৮৫ জনে পৌঁছেছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা সুরেশ সুনার জানিয়েছেন, জাজারকোটের ভেড়ি, নালগড়, কুশে, বারেকোট এবং চেদাগাদ এলাকায় ভূমিকম্পটি মারাত্মকভাবে আঘাত হেনেছে। জেলার সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবরও কাঠমাণ্ডু উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে।
সে সময় প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা যায়। আহত হয় ২২ হাজারের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্তত ৫ লাখ স্থাপনা।