বুধবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ই-পেপার
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ধর্ম
  13. প্রযুক্তি
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

দণ্ড কখনোই স্থগিত হয় না, দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা নির্বাচন করতে পারবে না

প্রতিবেদক
বার্তা প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
দণ্ড কখনোই স্থগিত হয় না, দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা নির্বাচন করতে পারবে না

বিশেষ প্রতিনিধি

দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা পাওয়া আসামি সাংবিধানিকভাবেই সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। সাজা ও দন্ড স্থগিত চেয়ে বিএনপির ৫ নেতার আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায়ের বিস্তারিত প্রকাশ পাওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। যাদের কেউ কেউ জামিনে আছেন। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপায় আগেও ছিলো না। এই রায়ের মাধ্যমে বিষয়গুলো স্পষ্ট হলো।

রবিবার (২২ অক্টোবর) এ বিষয়ে দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ রায় হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা আছে, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। হয় নিষ্পত্তি, নয়তো দণ্ড হয়। দুর্নীতি মামলায় দণ্ড পাওয়া কিছু ব্যক্তি বিচারাধীন আপিলে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন সাজা স্থগিতের জন্য। কারণ, সাজা স্থগিত হলে তারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন। রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট হলো— আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দণ্ড বহাল থাকবে, যার অর্থ সাজা কখনও স্থগিত হয় না।

আদালতের এই পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছেন। বিএনপির দাবি, সারা দেশে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক। শুধু তা-ই নয়, দলটি আশঙ্কা করছে দলের আরও বেশ কিছু সিনিয়র নেতাকে আগামী নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই তালিকায় আছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে আপিলকারীদের সাজা স্থগিত করার কোনও সুযোগ নেই।  আবেদনকারীরা হলেন– ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. আব্দুল ওহাব, মো. মশিউর রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আমান উল্লাহ আমান। এই পাঁচ আবেদনকারীর বিষয়ে বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের জামিন দেওয়া হয়েছে, তবে এটি বলা যায় না যে, তারা খালাস পেয়েছেন, বা তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বা তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, বা শেষ পর্যন্ত তারা দোষী সাব্যস্ত ও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। ফলে সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডিতদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা উপযুক্ত আদালতে স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানই এখানে প্রাধান্য পাবে।

বিএনপির দপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির দুই মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। ৯ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানায় ৮ বছর আগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান এবং কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিংকন।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ায় আমরা এখন বলতেই পারি যে, কোনও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জামিনে থাকলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য হবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত উপযুক্ত আদালতে তার সাজা বাতিল হয়। ফলে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বা আপিল বিচারাধীন এমন কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বাইরেও অনেক নেতা নির্বাচনের উপযোগিতা হারাবেন। এমনকি রাজধানীতে আট বছর আগের নাশকতার একটি মামলার রায়ে ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমসহ ১৫ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারাও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হলেন।

জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘আগেও কখনও সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারতেন না। যেহেতু সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, ফলে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মাঝপথে সাজা কখনও স্থগিত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না, নিষ্পত্তি হতে হবে।’

সর্বশেষ - রংপুর বিভাগ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নীলফামারীতে আবরার ফাহাদের স্মরণে সভা ও মৌন মিছিল

শেখ হাসিনাতেই আস্থা তরুণ প্রজন্মের

ব্যবসায়ী সম্মেলন আজ, যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজারে অসহায় মানুষের মাঝে বসুন্ধরা গ্রুপের শাড়ি বিতরণ

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামুল্যে চিকিৎসা প্রদান

শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় শাহিদ মাহমুদকে সংবর্ধনা

ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৩৬

ডোমারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা পেল দুই শতাধিক মানুষ

‘আমার দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার কথা মুখে আনাই ছিল স্বপ্নের মতো’

৫ আগষ্টের  আগে লাগতো এক টাকা এখন লাগে ১০ টাকা 

৫ আগষ্টের  আগে লাগতো এক টাকা এখন লাগে ১০ টাকা