ডোমারে ক্লুলেস ডাকাতির ছয়দিনে রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

নীলফামারী জেলা পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, ডাকাতির মালামাল উদ্ধারসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নীলফামারী সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই জেলে পাড়ার ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত সদস্য ও রবি চন্দ্র দাসের ছেলে অনিল চন্দ্র দাস (২৯), জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা জেলে পাড়ার পিতা মৃত্যু কালিদাস রায়ের ছেলে রঙ্গিয়া দাস (৫০), সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষনপুর সরকার পাড়ার কাজিমুদ্দিনের ছেলে নজু মামুদ ওরফে নজরুল (২৭)। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রফতার করে পুলিশ।
এসময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতির ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ১টি, সিম কার্ড ১টি, কাসার প্লেট ১টি, কাসার বাটি ২টি ও কাসার গ্লাস ১টি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গত সোমবার (১ মে) জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতার ব্রামন পাড়ার পুরোহিত বিজয় চক্রবর্তীর বাড়ীতে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের লোকজনদের জিম্মি করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের আলমারি ভাঙ্গচুর করে নগদ এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ, চার ভরি রুপার অলংকার, কাসার প্লেট ৩টি, কাসার বাটি চারটি ও পাঁচটি মোবাইল ফোনসহ প্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (২ মে) ডোমার থানায় বিজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে ৩৯৫, ৩৯৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আমিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (প্রশাসন ও অর্থ) আহব্বায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়। এছাড়াও অফিসার্স ইনচার্জ, ডিবি, পুলিশ পরিদর্শক, অপরাধ শাখা ও ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবীকে সদস্য করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এই ডাকাতির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অনিল, রঙ্গিয়া ও নজুকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অপরাধ কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। কুখ্যাত ডাকাত অনিল চন্দ্র দাসসহ তিনজনেই নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাঁকুরগাঙ এই চার জেলার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বর্তমানে তারা পুলিশ রিমান্ডে আছে।

  • Related Posts

    পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডীতে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চতুর্থ খেলা অনুষ্ঠিত

    দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বেলাইচন্ডী ইয়ং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের চতুর্থ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাড়ে তিনটায় উপজেলার বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের বেলাইচন্ডী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মুনপুরা…

    Continue reading
    শানের কণ্ঠে ‘শ্যাম কালিয়া’

    বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে প্রতিভাবান গায়ক শান সায়েক। স্বতন্ত্র এবং প্রাণবন্ত কণ্ঠের এই গায়ক একই সঙ্গে সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও সুপরিচিত। সম্প্রতি নতুন বছর উপলক্ষে আধুনিক লোকসঙ্গীত গানের ভিডিও নিয়ে শ্রোতাদের…

    Continue reading

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    মুক্ত মতামত

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    ‘রাজাকার’ ইস্যু বানিয়ে একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করেও কি কোটা ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়া যায়?

    কোটা পুনর্বহালে স্থিতাবস্থা মানে কি?

    প্রধানমন্ত্রীর সফরে পাঁচ মূলনীতির উন্নয়ন করতে চায় চীন

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি