দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার লোকালয়ে আর্কস্মিক উন্মুক্ত বানর দেখতে পাওয়া গেছে। এ উন্মুক্ত বানরটি দেখতে আবালবৃদ্ধবণিতা ভিড় করছে।
গত কয়েকদিন ধরেই উপজেলার গ্রামীণ শহর রানীরবন্দরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ও গাছের ডালে এ উন্মুক্ত বানরটিকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বানরটি কখনো টিনের চালে, কখনোবা বিভিন্ন গাছের ডালে দৌঁড়-ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ বানরটি মানুষের নজরে পড়ছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও গাছের ডালে বসে বানরটি মানুষের মুগ্ধতা উপভোগ করছে। বানরটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মনে আতঙ্ক ও ভয়ভীতি বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বানরটিকে রানীরবন্দরের তেগ আলী শাহ্পাড়া, নশরতপুর বাজার, সুইহারী বাজার, পালপাড়া, দীঘলনালীপাড়া, ফকিরপাড়া, ঘন্টাঘর এলাকায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ও গাছের ডালে খাবারের সন্ধানে বানরটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বানরটিকে তেগ আলী শাহ্পাড়ায় বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ও গাছের ডালে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। ওইপাড়ার মো. আব্দুল্লাহ বলেন, সকালবেলা বানরটিকে আমার বাড়ির সামনে দেখতে পাই। এসময় আমরা বানরটিকে কলা, আপেল, বাদাম খাবার দিই। বানরটি চালের ওপর থেকে খাবারগুলো নিয়ে খাচ্ছে।
দীঘলনালীপাড়ার মো. ওয়াজেদ আলী জানান, কয়েকদিন আগে আমাদের এখানেও বানরটিকে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় নারী-পুরুষ ও ছেলেমেয়েরা তাকে পেঁয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার খেতে দিচ্ছে।
স্থানীয় মো. ছাবেরউদ্দিন, কাঞ্চন সরকার, আমিনুল ইসলামসহ আরো অনেকে বলেন-আমাদের চিরিরবন্দর উপজেলা ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা। বানরটি হয়তোবা ভারত থেকে এসেছে। ১০-১৫ দিন ধরে বানরটিকে বৃহত্তর রানীরবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।
দিনাজপুরের জাতীয় উদ্যান রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, এসব বানর সীমান্তবর্তী ভারত থেকে আসতে পারে। অনেক সময় ক্ষুধার্ত বানর খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। সুবিধামত স্থানে নেমে বানরগুলো খাদ্যের সন্ধান করে থাকে। তিনি আরও বলেন, উৎসুক মানুষ যেন বানরটির কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। আমরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে বানরটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করবো।