কিশোরগঞ্জে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পাল্টে গেছে গ্রামের দৃশ্যপট

আমার গ্রাম আমার শহর ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই স্বপ্ন প্রায় সফল। বর্তমানে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামে পোঁছে গেছে। শতভাগ বিদ্যুৎতের কারনে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পোঁছে গেছে। পাঁকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের উন্নত শিক্ষার পাঁশাপাশি খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র ও ভুমি অফিস হতে ডিজিটাল সেবা ঘরে বসে পাচ্ছে মানুষ। এক কথায় গ্রামীণ রাস্তাঘাট,ব্রীজ কার্লভার্টসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুখী পদক্ষেপের কারনে গ্রামেও শহরের পরিবেশ ফুঁটে উঠেছে। বিশেষ করে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দৃশ্যমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে গ্রামেও শহরের পরিবেশ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে , বর্তমান সরকারের আমলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দুশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর মধ্যে বাহাগিলি ইউনিয়নের চাঁড়ালকাঁটা নদীর উপর নির্মিত ১৯০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজটি সকলের নজর কেঁড়েছে। ব্রীজটি নির্মানের ফলে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন দিগন্তের সুচনা হয়েছে। নীলফামারী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জাইকার অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নীলফামারী এর বাস্তবায়নে ৫৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৯০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ ও ৪৭০ মিটার এ্যাপোস সড়ক নির্মান করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের বাস্তবায়নে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ৯ টি ইউনিয়নের ৫২ কিলোমিটার পাঁকা সড়ক,৭৫০ মিটার ব্রীজ কার্লভার্ট, ৭৩ কিলোমিটার সড়ক রক্ষানাবেক্ষন কাজ, ৫ টি ব্রীজ , ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্য্র ভবন, উপজেলা পরিষদ ভবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। এদিকে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্তাবধানে গ্রামীন সড়কে ১২ কোটি ৫৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৭ টাকা ব্যায় করে গ্রামীণ সড়কে ৫০ টি সেতু/কালভার্ট ও ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ২২৩ টাকা ব্যায় করে ১২ হাজার মিটার মাটির রাস্তা হেরিংবন্ড এইচবিবি গ্রামীণ সড়ক নির্মান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ উপজেলায় দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে। তাঁর মধ্যে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম। ষ্টেডিয়ামটি নির্মানে ব্যায় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, উন্নয়নের সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় গ্রাম এখন শহরে রুপান্তরিত হচ্ছে। যেখানে উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ,জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান ,সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ভাগিনা আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, পল্লীবন্ধুর আমলে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পল্লীবন্ধুর পরে যদি কোন সরকার উন্নয়ন করে থাকে তা হল বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় পল্লীবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর এ অঙ্গিকার বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন কাজগুলো দ্রুতগতিতে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো যোগ করে বলেন, আমি বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে আমার নির্বাচনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।

  • Related Posts

    নীলফামারীতে তারেক রহমানের নির্দেশে শীতার্তদের পাশে জেলা বিএনপি। 

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নীলফামারীতে অসহায় দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে জেলা বিএনপি। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে…

    Continue reading
    নীলফামারীর চওড়া বিলের পলি অপসারণ কাজের উদ্বোধন

    নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বিলের পলি অপসারন কাজের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারী) সন্নাসীতলা স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে কাজের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য…

    Continue reading

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    মুক্ত মতামত

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    বিভ্রান্তিকর ও স্বার্থপরতার আন্দোলন!

    ‘রাজাকার’ ইস্যু বানিয়ে একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    আজকের আন্দোলনকারীরা কি ২০১৮ এর ভুলটিই করবেন?

    নিয়োগ পরীক্ষায় পাস না করেও কি কোটা ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়া যায়?

    কোটা পুনর্বহালে স্থিতাবস্থা মানে কি?

    প্রধানমন্ত্রীর সফরে পাঁচ মূলনীতির উন্নয়ন করতে চায় চীন

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    সরকারি চাকরিতে ১০ ভাগ কোটা ভাবা যেতে পারে

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুঘটক

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি

    ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির লাভ-ক্ষতি