নীলফামারীর সৈয়দপুরে নব-বধূকে হত্যার দায়ে স্বামীকে আটক করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। রববিার (৫ জানুয়ারি) শহরে কাজীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে সকালে গৃহবধু মুক্তা (২০) লাশ উদ্ধারসহ ঘাতক স্বামী রানা (৩২) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, শহরের কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকায় নান্নুর মেয়ের ঘাতক রানার সাথে কাজীপাড়া এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়। কিন্তু এ বিয়েতে ঘাতক রানার মা রুমি বেওয়ার মতামত ছিলনা। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। সেই সাথে স্বামী স্ত্রীর মাঝে প্রায় ঝগড়া ব্বিাদ লেগে থাকত।
ঘাতক রানার বোন লাভলি বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাড়ি ফিরলে স্বামী-স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্মামী ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বিষয়টি আমাকে ফোনে করে বলে তোর ভাবিকে মেরে ফেলেছি তার বাবার বাড়িতে খবর দে লাশ নিয়ে যাক। এমতাবস্তায় ঘাতকের বোন লাভলি থানায় খবর দিয়ে রানাকে সকাল বেলা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নিহতর মা জাহেদা বেগম বলেন, রানা তার পূর্বের বিবাহের কথা গোপন করে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার সন্তানও আছে। বিয়ের পর থেকেই রানাসহ তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে নির্যাতন করতো। যা এলাকার মানুষ আমাকে ফোনে জানাত। গত শনিবারেও নির্যাতন করেছে। পারিবারিকভাবে সড়যন্ত্র করে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন জানান, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে রানা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবকটি হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন। নিহতর পরিবার মামলা করলে পরবর্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।