বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও এনামুল হক বিজয়। দুজনের ১৪০ রানের জুটিতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে দুর্বার রাজশাহী। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। তবে শেষমেশ জয় দিয়েই আসর শুরু করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে ১৯৮ রানের বড় লক্ষ্য দেয় রাজশাহী। জবাবে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অপর প্রান্তে ৫ বলে ৭ রান করে তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। এরপর ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কাইল মায়ার্সও। ৫ বলে ৬ রান করে ক্যাচ আউট হন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। তবে অভিজ্ঞ মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১১ বলে ১৩ রান করে মুশফিক আউট হলে ২৩ বলে ৩২ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন হৃদয়। এতে দলীয় ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে ব্যাট চালাতে থাকেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু ১৭ বলে ২৭ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই পাক ক্রিকেটার। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গ দেন ফাহিম আশরাফ। হাসান মুরাদের বলে টানা তিন ছক্কা হাকিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারে লাহিরুকে ৩ ছক্কা হাকিয়ে রাজশাহীর কাছ থেকে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ফাহিম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাকিয়ে ২১ বলে ফিফটি পূরণ করেন এই পাক ব্যাটার। এতে ১১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়াও হাসান মুরাদ দুটি এবং জিশান আলম নেন এক উইকেট। এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী। বিজয় করেন ৬৫ রান।