পাট প্রকৃতির অমূল্য দান, মাটি পরিবেশ ও অর্থনীতিতে তার অফুরান অবদান, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে, নীলফামারীতে পাঠ পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাট অধিদপ্তর নীলফামারীর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘নীলফামারীর ছয় উপজেলার পাটচাষী, স্টেকহোলডার, মিল মালিক, জনপ্রতিনিধি ও উদ্যোক্ততাসহ প্রায় ৫০-৬০ জন সভায় অংশ গ্রহন করেন। আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারুক আল মাসুদ।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এটিএম তৈয়বুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাট চাষি অলিয়ার রহমান, জেলা পাটচাষি সমিতির সভাপতি ও কেন্দ্রিয় পাটচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ চৌধুরী, সেলিম এগ্রোঃ লিমিটেডের সত্বাধিকারী আবুল কালাম, নীলফামারী চেম্বারের প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, জামায়াত প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মন্টু ও উদ্যোক্তা ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এটিএম তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘পাট চাষের সম্প্রসারণ ঘটানো এবং দেশীয় পাট বীজ উৎপাদন করে পাট উৎপাদন করে জাতীয় পর্যায় পাটের মান উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য পাটের সামগ্রী ব্যবহার বৃদ্ধি করে পলিথিনের ব্যবহার শতভাগ বন্ধ করার আহব্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, পাট আমাদের ঐতিহ্য, সোনালী পাট শতভাগ মানুষের উপকারে আসে। প্রায় ১৪-১৫ মেট্রিকটন কার্বণডাই অক্সাইড পাট গ্রহন করে এবং ১৫-১৬ মেট্রিকটন অক্সিজেন ছেড়ে দেয় যা মানুষে দেহের উপকারে আসে। কাজেই প্রত্যেক পাটচাষীকে নিজ উদ্যোগে পাট উৎপাদন ও তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার পাটের উন্নয়নের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও, বিনামূল্যে সার বীজ কৃষকের মাঝে বিতরণ করে আসছে।