নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিনন্দন চিনাপাথরের তৈরি চিনি মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য করে আহ্বায়ক কমিটি সদস্যদের ছাড়াই জোর করে নতুন কমিটি তৈরি করায় ক্ষোভের জন্ম হয়েছে মুসল্লিরা মধ্যে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগও দিয়েছে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সহিদুল ইসলাম।
জানা যায়, মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে এর আগে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় নি। কিন্তু মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলুর অনিয়ম-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক মামলায় তিনি পলাতক থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে মসজিদের প্রশাসনিক কার্যক্রম। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির নানা অনিয়ম দুর্নীতি উল্লেখ করে গত ১৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন স্থানীয়রা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই মসজিদের ইমাম মো. সাঈদ রেজা রিজভীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিনি মসজিদের মুসল্লিরা জানান, গত ১ নভেম্বর শুক্রবার জেলা তাবলীগ জামাতের ইজতেমা চলাকালীন সময়ে আহ্বায়ক কমিটির অর্ধেক সদস্য ও অধিকাংশ মুসল্লিরা তাবলীগে অংশগ্রহণ করার সুযোগে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা পূর্বের সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলুর অনুসারীরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে জোর করে একটি কমিটি ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিয়ে মুসলি¬দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ও যেকোনো সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে পূর্বের সভাপতির অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সহিদুল ইসলাম বলেন,’পূর্বের সভাপতি ভলর অনিয়ম দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল মুসলি¬রা। তার এমন অনিয়মে ইউএনও স্যার ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আমাদের নিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু পূর্বের সভাপতির হাতে নিয়োগ পাওয়া ইমাম সাঈদ রেজা রিজভী আমাদের তাবলীগ জামাতের থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুনরায় ভলুর সঙ্গে যোগসাজশে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন।যা নিয়ে মুসলি¬দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে যেকোন সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে।’
অভিযোগের বিষয়ে ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদের ইমাম সাঈদ রেজা রিজভী ও পূর্বের সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, মসজিদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।