ন্যায্য অধিকারের দাবীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে শিক্ষার্থীদের হত্যার দায়ে বাকশালি স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার হবে। বিদেশে পালিয়ে থেকে যত ষড়যন্ত্রই করুক গণহত্যার দায় থেকে তারা রক্ষা পাবেনা। এই বাংলার মাটিতে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব মন্তব্য করেছেন।
তিনি বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক কর্মীসভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ার পথে এই কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ।
সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম স্বপ্না। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার শাহীন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু।
আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তারিক আজিজ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি, রওনক জাহান রিনু, সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগম, উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহিন আকতার, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালিম, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপি কোষাধ্যক আবিদ হোসেন লাড্ডান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পলাতক হাসিনা ও তার ছেলে জয় বিদেশে থেকেই এখনও নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তারা পূর্বের মতই মিথ্যেচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অপপ্রচার চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি যেন কোনভাবেই আমাদের বিজয়কে নস্যাৎ করতে না পারে।
তিনি বলেন, বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব অনেক। দেশবাসীও গণতন্ত্র পূন: প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার পাশাপাশি নিজেরাও কোন প্রকার অরাজকতায় যেন না জড়াই। বরং সুসংগঠিত হয়ে সংখ্যালঘু ভাইদের আস্বস্ত করে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকতে হবে। ১৪ও ১৫ আগস্ট রাজপথে বিএনপির সকল নেতা কর্মী সজাক থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ীঘর নিরাপত্তা দেবেন। এছাড়া আওয়ামীলীগ কে রাজপথে মোকাবেলা করা হবে।