উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের নীলফামারী সহ আট জেলার সড়ক-মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলছে পণ্যবাহী ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন। দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, অটো, সিএনজি হতে জোরপূর্বক থামিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে একটি চক্র। চাঁদা না দিলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে।
এভাবেই প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির টাকা আদায়ের কাজে রয়েছেন বিশাল এক চক্র। এবার তথ্য প্রমান সহ এদের ধরতে মাঠে নেমেছে র্যাব-১৩ রংপুর ও সিপিসি ক্যাম্প। গত দুই দিনে বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করা হয়। র্যাবের পক্ষে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই খবরে বিভিন্ন পয়েন্টের থাকা চাঁদাবাজরা গা-ঢাকা দিয়েছে। এতে যানবাহনগুলো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার(১৯ মে) দুপুরে এক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৩ এর উপ পরিচালক মিডিয়া স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সুত্র মতে, তারা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সময়ে লাঠিসোটা দেখিয়ে মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে এসব চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছিল। বিষয়টি র্যাব-১৩ এর নজরে আসলে গত দুইদিনে রংপুর বিভাগের তিন জেলায় রংপুর,নীলফামারী,কুড়িগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ১৮ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে শনিবার(১৮ মে) সন্ধ্যায় নীলফামারীর জলঢাকা নীলফামারী মহাসড়ক থেকে দুইজন চাঁদাবাজ জলঢাকা এলাকার মোঃ শাহআলম (৪৩), গোলাম মোস্তফা (৪২), রংপুর জেলার হারাগাছ এলাকা থেকে পাঁচজন চাঁদাবাজ মাসুদ আহমেদ (৪৫), দিপক সরকার (৪০),জালাল মিয়া (৩২), পলাশ চন্দ্র রায় (৩২), মিলন মিয়া (৩২), রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন রংপুর-নীলফামারী মহাসড়ক এলাকা, দক্ষিণ খলেয়া গঞ্জিপুর বাজার সংলগ্ন ভিন্নজগতের মোড়, পাগলাপীর বাজার এলাকার থেকে ৭ জন চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা চাঁন মিয়া (৫৬), অমল চন্দ্র রায় (৪০),আলাউদ্দিন (১৮),ফারুক মিয়া (১৯), জাহাঙ্গীর আলম (৫৬), মহসিন আলী (৪০), মজিদুল ইসলাম (৪২),কুড়িগ্রাম জেলার রংপুর কুড়িগ্রাম মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে চারজন জাবেদ (৩৪), শাহাবুল ইসলাম (২৯), বেলাল হোসেন (২৭),ইব্রাহিম আলী(২৮) সহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৩ এর উপ পরিচালক মিডিয়া স্কোয়াড্রন লীডার মাহমুদ বশির আহমেদ আরও জানান, এই অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। আর যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩৮৫/৩৮৬/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। রবিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নীলফামারী সরকারী মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ
নীলফামারী সরকারী মহিলা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া, ধর্মীয় এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার(১৪ জানুয়ারী) কলেজ অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৪০টি ইভেন্টের বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে…