হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা।
নীলফামারীতে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোররাতে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় লোকজন বাইরে বের হতে পারেনি।মহাসড়কে যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকালে কোনো ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড্ডয়ন ও নামতে পারেনি।
ফলে বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন যাত্রীরা।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরে ভোররাত থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ঘন-কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকা ও ঠান্ডার কারণে সৈয়দপুরসহ আশপাশের মানুষজন কাবু হয়ে পড়েছে। ঘন-কুয়াশা ও হিমেল ঠান্ডায় মানুষজন কাবু হয়ে পড়ায় তেমন প্রয়োজন না পড়লে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউই।
কুয়াশা ও শীতের কারণে খেটে খাওয়া দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন অবর্ণনীয় কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছেন। তার ওপর শীতবস্ত্রের অভাবেও তারা পড়েছেন দুর্বিপাকে।
রেলওয়ে স্টেশনে, বাস-টার্মিনাল ও শহরের অলিগলিতে বিচরণ করা ছিন্নমূল মানুষজন শীতে কাহিল হয়ে সামান্য কাপড়ে জবুথবু অবস্থায় বসে থাকছেন। কোথাও কিছু-কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও এসব মানুষজনের নিকট এসব বস্ত্র পৌঁছাছে না।
অপরদিকে, ঠান্ডার প্রকোপে বয়স্ক ও শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগসহ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। শীতের তীব্রতায় পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। অসহায় ছিন্নমূল ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের শীতের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারিভাবে ও বিভিন্ন সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র বিতরণসহ এসব মানুষজনদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই, তারা এ ব্যাপারে সচেতন সকলের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
আবহাওয়া সম্পর্কে সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জনপদ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাথে কুয়াশা কেটে গেলে বিমান স্বাভাবিক হবে জানান তিনি।