দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ২ জন ধর্ষককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত ১৮ নভেম্বর শনিবার ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রেসব্রিফিং সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী চিরিরবন্দর উপজেলার মালিপাড়ার আব্দুল গণি দুলুর ছেলে মো. আল আমিন (২৬) কে র্যাব-৬’র সহযোগিতায় বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন নরেন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তপ্রাপ্ত অজ্ঞাত আসামী থেকে রুবেল ইসলাম (৩০) নামে অপর একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত রুবেল উপজেলার রেলকলোনী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ ও চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশীদ আটকের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার পর তারা গা ঢাকা দেয়। মোবাইলের লোকেশন ট্রাকিং করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের দ্রুত আটক করা হবে।
উল্লেখ্য ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গংগাচড়ারর হারিয়ে যাওয়া শিশু চিরিরবন্দর থেকে উদ্ধার
কাঞ্চন সরকার, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি শিশুকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা থেকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার ধামুর এলাকার মেহেরুল ইসলামের শিশু কন্যা রুমা আকতার (১২) একই উপজেলার প্রতিবেশি মানিক নামে একজনের বাড়িতে কাজ করত। গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার শিশুটি কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দিনাজপুর শহরের খোকন মৌলভীর মোড়ে এসে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। সে সময় চিরিরবন্দরের লুসি আকতার নামে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী শিশুটিকে দেখতে পায় এবং তাকে তাদের গ্রামের বাড়িতে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে। ওইদিনই বিকেলে থানায় জানিয়ে শিশুটিকে থানার হেফাজতে দেয়। থানা কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়ে গংগাচড়া থানার মাধ্যমে প্রকৃত পিতামাতা ও গৃহকর্তাকে ডেকে এনে তাদের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়।
থানার এএসআই জোনাব আলী জানান, শিশুটি মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নয়। শিশুটিকে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।