প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে কাভারের উপর দিয়ে চার মারতে চেয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু টাইমিং এতো নিখুঁত ছিল যে, চার না হয়ে ছক্কাই হয়ে গেল।রাহুলও হতভম্ব হয়ে বসে রইলেন কিছুক্ষণের জন্য। কিছুতেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না তার, সেঞ্চুরির সব হিসেব জলে গেল।

মূলত সেই ছক্কাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। তাই ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন রাহুল। ১১৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। যদিও সেঞ্চুরি না পেয়ে খুব একটা আক্ষেপ নেই তার। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে তেমনটাই জানালেন তিনি।

রাহুল বলেন, ‘আমি হিসাব করছিলাম কীভাবে সেঞ্চুরিটা করতে পারি। কিন্তু আমি খুব ভালোভাবেই হিট করি।  ওই শটটা ছক্কা না হয়ে চার হলে আমি আরেকটা শট খেলার সুযোগ পেতাম। পরের শটে ছক্কা হলেই হতো। আশা করি পরে কখনো সেঞ্চুরি পাব। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় কোনো আপত্তি নেই। ’

রাহুল যখন ব্যাটিংয়ে আসেন, তখন মাত্র ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। সেই পরিস্থিতিতে বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি বেঁধে দলকে জয় এনে দেন তিনি। এতো কম রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে জয়ের কীর্তি গড়ল ভারত। তাতে অনবদ্য অবদান রাহুলের।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে ব্যাটিংয়ে নামার পর কোহলির সঙ্গে খুব বেশি কথা হয়নি। ফিল্ডিংয়ের পর গোসল সেরে ভেবেছিলাম পা দুটোকে আধা ঘণ্টার জন্য বিশ্রাম দেব। কিন্তু আমাকে নামতেই হলো। কোহলি বললেন, আমাকে কিছুটা সময় টেস্ট ক্রিকেটের মতো খেলতে হবে। ব্যাটিংয়ের জন্য এটি দারুণ উইকেট নয়, আবার খুব বেশি কঠিনও নয়। দলের হয়ে এই ইনিংস খেলতে পেরে খুশি আমি। ‘ 

রাহুলের মতো খুশি তার দলও!