মামলা নিস্পত্তির বিকল্প পন্থা হিসেবে মেডিয়েশন ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল।
শনিবার(৭ অক্টোবর) দিনব্যাপী নীলফামারী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সমিতির হলরুমে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির ও জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মূলত মেডিয়েশন হলো বিরোধ নিস্পত্তির বিকল্প একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতি আদালত-ট্রাইব্যুনালের প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে থেকে অভিযোগ নিস্পত্তিতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে মেডিয়েশন পদ্ধতি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে পঞ্চায়েত অন্যতম। পঞ্চায়তের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগ দ্বারাও সমাদৃত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, মেডিয়েশন পদ্ধতিতে একজন মেডিয়েটরের মাধ্যমেই অভিযোগ নিস্পত্তি করা হয়। যেখানে উভয়পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হয়। ফলে উভয়পক্ষের সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়।এই পদ্মতি বিচার বিভাগের ওপর থেকে মামলার চাপ কমানোর পাশাপাশি বিচারে সমতা নির্ণয়ে কাজ করে এবং মামলার জট কমাবে ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মমতাজুল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সিকদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আব্দুল ওহাব চৌধুরী, তুষার কান্তি রায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক অক্ষয় কুমার রায়, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলু সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আবুল হোসেন, মানবাধিকার কর্মী আব্দুল কুদ্দুছ মাখন।