নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা ধুলিয়া পাইকারপাড়া গ্রামে জমিতে দেওয়া কীটনাশকে মারা গেছে ৬৫টি হাঁস। সোমবার(২৮ আগষ্ট) সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন খামারি নূর ইসলাম।
অভিযোগ মতে, আগাম কোন সর্তকতা না জানিয়ে ধানের জমিতে কীটনাশক ¯েপ্র করেন ওই গ্রামের কৃষক বাবু আলী। প্রতিদিনের মতো ক্ষুদ্র খামারি নূর ইসলাম তার খামারের হাঁস ছেড়ে দেন। হাঁসগুলো ওই জমিতে গিয়ে কাঁদাপানিতে নেমে পোকামাকড় খেতে গিয়ে বিষাক্ত কীটনাশনের কবলে পড়ে ৬৫টি হাঁস মারা যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হাঁসের মালিক মৃত হাঁস নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং হাঁস হত্যার বিচার দাবি করেন।
খামারি নূর ইসলাম বলেন, স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ওই হাঁসের খামার করেছি। ভেবেছিলাম হাঁস বড় হলে বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করব। এখন আমি কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করব। হাঁস হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত কৃষক বাবু আলী বলেন, আমার জমিতে হাঁস নামবে এটি আমি জানতাম না। আর মানুষের হাঁস-মুরগি আমার জমির ধান নষ্ট করছে এটি তো আমি সহ্য করব না। কোনো ক্ষতিপূরণ দেব না।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে হাঁস-মুরগি আছে। জমির মালিকের উচিত ছিল আগে ঘোষণা দেওয়া। অনেক সময় জমির আশে পাশে বাচ্চারা খেলতে যায়। যদি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়তো। ভবিষ্যতে যেনো কোনো কৃষক এমন কাজ না করে বলে দাবি জানান স্থানীয়রা।
খাতামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সালিশের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।