মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বাদ দিয়ে এশিয়া কাপের জন্য টাইগারদের ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় সাকিবের নেতৃত্বেই দল ঘোষণা করেন-প্রধান নির্বাচন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন তরুণ তানজিদ তামিম। সেজন্য জাতীয় দলের দরজা খুলেছে তার জন্য। দলে জায়গা ধরে রেখেছেন নাঈম শেখ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ দুটি খেললেও ব্যর্থ হন তিনি।
এশিয়া কাপের দলে ফিরেছেন ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী। ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভালো ক্রিকেট খেলায় তাকে নিয়ে আলোচনা ছিল। এছাড়া টিম ম্যানেজমেন্ট দলে অতিরিক্ত একজন অলরাউন্ডারের কথা ভেবে তাকে নিয়েছে।
দলে বাঁ-হাতি স্পিনার বিবেচনায় তাইজুল ইসলামকে না রেখে নির্বাচকরা নাসুম আহমেদকে রেখেছেন। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে ফ্লাট উইকেটে খেলা হতে পারে এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। ফ্লাট উইকেটে তাইজুলের চেয়ে নাসুমকে বেশি কার্যকরী ধরা হয়েছে।
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হাসান শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শেখ মাহেদী, নাসুম আহমেদ, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, নাঈম শেখ।
এর আগে প্রথম দল হিসেবে গত ৯ আগস্ট এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করে আয়োজক পাকিস্তান।
আগামী ৩০ আগস্ট শুরু হবে এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এ টুর্নামেন্ট। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বসতে যাচ্ছে এবারের আসর।
ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের আসরটি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এটি এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটে এবারের আসরটি হচ্ছে ১৪তম।
এশিয়া কাপের মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কাতে। এবারের আসরের ১৩টি ম্যাচের ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়, বাকি ৪টি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য সবগুলো ম্যাচই লাহোরের মাঠে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এবারের টুর্নামেন্টটি হবে একটু ভিন্ন ধাচে। মূল পর্বের খেলাগুলো দুইটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে খেলবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও নেপাল। তিনটি করে দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম পর্ব খেলবে।
সেখান থেকে প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি দল সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ পাবে। সুপার ফোরের চারটি দল পরস্পরের সঙ্গে খেলবে। এরপর সুপার ফোরের শীর্ষ দুটি দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে