আগে থেকে ধারণা করা হচ্ছিল একতরফা ম্যাচ হবে। সহজেই ইন্টার মিলানের হৃদয় ভেঙে ইতিহাস গড়বে ম্যানচেস্টার সিটি। মিলানের হৃদয় অবশ্য ভেঙেছে, সিটিও ইতিহাস গড়েছে তবে ম্যাচ ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। খুব বেশি উত্তেজনা তৈরি করতে পারেনি ম্যাচের প্রথমার্ধে। বরং মিলানই বলার মতো ভালো খেলেছে।
হালান্ড হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের হ্যাটট্রিক করতে পারে। এমনটাই ভাবনা ছিল অনেকের। কিন্তু গোলই পায়নি তরুণ তারকা। তবে ট্রফি জিততে কী আর সবার গোল করা লাগে! কখনো কখনো একটা গোলই যথেষ্ট। আর রদ্রিগোর একমাত্র গোলে ইতিহাস গড়ল ম্যানচেস্টার সিটি।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইন্টার মিলানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার পাশাপাশি প্রথম ট্রেবল জয়ের রেকর্ডও গড়ল ইংলিশ ক্লাবটি। ইউরোপের ইতিহাসে দশম দল এবং দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে এ কীর্তি গড়েছে তারা। অপর ক্লাবটি হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ জুন) রাতে মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচটি দুই দলই শুরুটা করে দেখেশুনে। সময় যত গড়িয়েছে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ম্যান সিটি। তবে মিলান গোলরক্ষককে খুব বেশি পরীক্ষার ফেলতে পারেনি হালান্ড-গুনদোয়ানরা।
খেলা শুরুর পঞ্চম মিনিটেই দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন বার্নার্দো সিলভা। ডি বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু টার্গেট মিস করে গেছেন। এরপর পাল্টা আক্রমণে উলটো বিপদেই পড়তে যাচ্ছিল সিটি। ২৫ মিনিটে বারেল্লার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জাল ছোঁয়নি। তৈরি ছিলেন না সিটির গোলরক্ষক এডারসনও।
৩০ মিনিটে মাঠে পড়ে যান কেভিন ডি ব্রুইনা। সে সময় শুশ্রূষা নিয়ে ফের মাঠে ফিরলেও অস্বস্তি ছিল চোখে-মুখে। ৩৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। অস্বস্তিতে ভোগা ডি ব্রুইনাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। নামেন ফিল ফোডেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ তম মিনিটে সিটির গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন লাওতারো মার্টিনেজ। পাল্টা আক্রমণে ওঠে আসে সিটি। সুফল পেতেও সময় লাগলো না। ৬৮ মিনিটে একটা সংঘবদ্ধ আক্রমণে বল পেয়ে দারুণ শটে গোল করলেন সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি। তার জোরালো শট ফেরানোর যেন কোনো ক্ষমতাই ছিল না ইন্টারের গোলরক্ষক ওনানার কাছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন বল জালে জড়িয়ে যেতে।
পরের মিনিটেই গোল প্রায় শোধ দিয়েই ফেলেছিল ইন্টার। প্রতিআক্রমণে উঠে ঢুকে পড়েছিল সিটির রক্ষণভাগে। ডামফ্রির ক্রসে যে হেড নিয়েছিলেন ডিমারকো তা এডারসনকে পরাস্ত করলেও ফেরে ওপরের পোস্টে লেগে। ফিরতি বলে ফের ডিমারকো হেড নিয়ে বল দিয়েছিলেন লুকাকুকে। অবিশ্বাস্যভাবে সুযোগ নষ্ট করেন এই বেলজিয়ান। ৭৩ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট করেন লুকাকু।
৭৮ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ফোডেন। কিন্তু ডিবক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে যে শট নেন তা সহজেই নিজের আয়ত্তে নেন ওনানা। ৮৮ মিনিটে দারুণ সেভ করে দলকে বাঁচান সিটির গোলরক্ষক এডারসন।