সারাদেশের মতো নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রচন্ড তাবদাহ বইছে। সেইসাথে বেড়েছে হাতপাখার কদর। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। গতকাল বুধবার বিকেলে ৫ মিনিট এক পসলা বৃষ্টি হলেও সস্তি নামেনি এ অঞ্চলে।

গরমের সাথে পাল্লাদিয়ে চলছে ঘন ঘন লোড সেডিং। এমতাবস্থায় গরম থেকে এড়াতে হাতপাখার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যাক্তি। গতকাল শহরের পাঁচমাথা মোড়ে রাত্রে ফুটপাতে হাতপাখার দোকোনে দেখা গেছে প্রচন্ড ভির। একটি করে হাতপাখা প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

তীব্র দাবদাহের কারণে ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের কথা বিবেচনা করে ৮ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করায় এ ধরনের সিদ্ধন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তবে এ ছুটি আরও বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকরা জোড় দাবি করছে। তীব্র দাবদাহ ও গরমে তৃষ্ণা মেটাতে লোকজন ছুটছেন শরবতের দোকানে।

এরই মধ্যে নীলফামারী জেলা প্রশাসন তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক এড়াতে সতর্ক বাণী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে।

উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে গরমের কারণে বেশিরভাগ দিনমজুর ও শ্রমিক কাজে বের হতে পারছেন না। বের হলেও ১০-১৫ মিনিট বাইরে থাকতেই তারা হাঁপিয়ে উঠছেন। বয়োবৃদ্ধরা জানান, জীবনে এরকম গরম তারা আর দেখেননি। বাইরে বের হলেই শরীরে র‌্যাশ/ফোঁসকা পড়ে যাচ্ছে।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আকাশে মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে না। আগামী ৯ জুনের আগে আবহাওয়ার কোনো ভালো খবর নেই। তবে এই জনপদের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টিপাত হলেও হতে পারে।
তীব্র এ তাপদাহের মধ্যে শহর ও গ্রামে সমানতালে চলছে লোডশেডিং। মধ্যরাতেও দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হওয়ায় মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে। অনেক জায়গায় দিন-রাত মিলে ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টাই লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে কম্পিউটার ও ফঠোকপি ব্যবসায়ীরা পরেছে চরম বিপাকে। ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যানের ব্যাটারি চার্জও হচ্ছে না। এতে করে সেসবের চলাচল অনেক কমে গেছে।
প্রচন্ড গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস শুরু হয়েছে জনজীবন।