দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মামুদপুর রসুলপুর হামিদিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারি শিক্ষক মমিনুর রশিদ (৫৬) কে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রতিপক্ষরা ওই মামলা তুলে না নিলে বাদীকে তুলে নিয়ে গুম করার হুমকি প্রদান করছে। ফলে বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জানা গেছে, গত ২ জুলাই ইমরান রায়হানসসহ তার পিতা মমিনুর রশিদ (৫৬) ও দাদা মোজাম্মেল হক (৮০) চিরিরবন্দর উপজেলার মামুদপুর গ্রামের মুন্সিপাড়ায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে জৌড়ালিরপাড় নামকস্থানে পৌঁছলে উপজেলার বাজে দিঘারণ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), জাকির হোসেন (৪০), জামিল হোসেন ওরফে বুলু (৩৪), মাইজার রহমান (৩৪), হাসিম বাবু (৩৩), মাহফুজুর রহমান (২৮), খোরশেদ আলম (৩৩) সহ আরো ৫-৬ জন শিক্ষক মমিনুর রশিদের উপর অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এসময় আমাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে গুরুতর আহত মমিনুর রশিদকে উদ্ধার করে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তাঁর মাথায় ১৯টি সেলাই দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ইমরান রায়হান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করে। অন্যান্য আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে মামলার বাদী ইমরান রায়হানকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। একদিকে অসুস্থ পিতা অপরদিকে মামলার বাদী পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় প্রতিপক্ষের অব্যাহত হুমকি-ধামকিতে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রশিদ জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনায় হুমকিদাতারা যত ক্ষমতাসীন হোক না কেন তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।