গত বৃহস্পতিবার পালিত হল পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ধর্মপ্রান মুসলমানেরা ঈদ উপলক্ষে সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি করেন। চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নের কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রয়ের প্রানকেন্দ্র গ্রামীন শহর রানীরবন্দর। দুপুরের পর থেকে ফড়িয়া ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা ছাগল ও গরুর চামড়া নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। রাতভর চলে কেনা বেচা। এবারের ঈদে ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়নি।বিক্রি করতে না পারায় বিক্রেতারা ফেলে রেখে চলে যায়। উপজেলার চামড়া ব্যবসায়ি সেরাজুল, মিজানুর,জিকরুল,বদিয়ার রহমান, মমতাজ আলী, আনিছুর রহমান, কাল্টু, মোফাজ্জল ও ছইপদ্দিন সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারে ছাগলের চামড়ার দাম কম, শ্রমিক মূল্য বেশি, কাঁচামাল লবনের দাম বেশি, এবং চামড়া বিক্রির টাকা মহাজনদের কাছে তুলতে হয়রানি সব মিলে ছাগলের চামড়া কিনার আগ্রহ নেই। তাই ছাগলের চামড়া অবিক্রি থেকে যায়। ব্যবসায়িরা সবমিলে হিসাব করে জানায় ছাগলের চামড়া এ বছর কেনাটাই অনর্থক। রানীরবন্দর চামড়া বাজারে প্রায় ১০ হাজারের বেশি চামড়া আমদানি হয়। বিক্রি না হওয়ায় স্তুপ করে পড়ে থাকে। দোকানের সামনে ও জনসমাগমস্থলে। এছাড়া যে সব মসজিদে ছাগলের চামড়া অবিক্রি করছে মসজিদ কমিটি পড়ে মহাবিপদে। স্থানীয় ভাবে কোরবানির বর্জ্য পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে কোন প্রকার প্রচার প্রচারণা না থাকায় ওইসব চামড়া যে যার মতো করে উপজেলার ইছামতি নদী, বিভিন্ন পুকুর জলাশয়ে ফেলে দেয়। রানীরবন্দর-খানসামা সড়কের চান্দেরদহ থেকে রানীরবন্দর হাট পর্যন্ত ইছামতি নদীর ধার দিয়ে চামড়ার দূর্গন্ধে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন না এবং ইছামতি ডিগ্রি কলেজ থেকে তারকসাহার হাট নদীর ধারে, চিরিরবন্দর সড়ক, কারেন্টেরহাট এলাকা, চিরিরবন্দরের প্রানকেন্দ্র ঘুঘুরাতলী মোড় বটমূলে, বিন্যাকুড়ি যাওয়ার রাস্তা সহ পুরো উপজেলায় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে নশরৎপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব সহ কয়েকজনের সাথে পরিবেশ বিষয়ে কথা হলে তারা বলেন, আমরা জানি না ছাগলের চামড়া অবিক্রি থাকবে। কে বা কারা এসব বর্জ্য মাটিতে পুতে না রেখে রাস্তার ধারে ফেলেছে আমরা বলতে পারি না। তবে পরে থাকা চামড়ার দূর্গন্ধ হলে সেগুলা লোক মারফত পুঁতে রেখে পরিবেশে রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে।