সাত বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটির খানকাউত্তরপাড়া গ্রামে। শনিবার(৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ধষিতা শিশুকে ওই রাতে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ধর্ষক রনি(২৫) পালিয়ে গেছে। সে ওই গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত ধর্ষককে রক্ষা করতে ও ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহে একটি মহল উঠেপড়ে লাগায় চিলাহাটি এলাকার যুব ও তরুন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে পড়ে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে চিলাহাটি এলাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে চৌরাস্তা মোড়ে সমবেত হয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে মিলিত হয় তারা। বক্তরা ধর্ষককে গ্রেপ্তার এবং বিচারের মাধ্যমে ফাসির দাবিতে চিলাহাটি উত্তালে পরিনত করে। সমাবেশ থেকে যুব-তরুন ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষক রনিকে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে তারা।
চিলাহাটির খানকা উত্তরপাড়া গ্রামের পলাশ হোসেন জানান, শিশু মেয়েটির বাবা চিলাহাটি বাজারে চটপটির দোকান করেন। ধর্ষক রনির বাবাও চিলাহাটি বাজারে কাচা তরকারির আড়ৎদার। তাদের বাড়ি একই পাড়ার রাস্তার সামনাসামনি। কিছুদিন আগে রনির ছোট ভাই বিয়ে করে ঘরে নতুন বউ এনেছে। কিন্তু বড় ভাই রনি বিয়ে করেনি। ঘটনার দিন বিকাল ৫টার দিকে রনি ওই শিশুটিকে আইসক্রিম দেয়ার কথা বলে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। ভুট্টা ক্ষেত থেকে কান্নার শব্দ পেয়ে মানুষজন গিয়ে দেখতে পায় বস্ত্রহীন এবং রক্তাত্ব অবস্থায় শিশুটি কান্নাকাটি করছে। সে এলাকাবাসীকে জানায় রনি তা এ হাল করেছে। শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে চিলাহাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে সেখান থেকে রাতে ৪২ কিলোমিটার দুরে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুর রহিম জানান, শিশুর চিকিৎসা চলছে।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, শিশুটির পরিবার থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ থানায় দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি।
