নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অপহরন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুলবুল ইসলাম (২২) নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২ টার দিকে নিতাই ইউনিয়নের গাংবের ব্রীজের উপরে অবস্থান নিয়ে লুকিয়ে থাকে অপহরনকারী গ্যাংয়ের প্রধান সাদেকুল ইসলাম মুনসহ অপর সদস্যরা। মামলার ভিকটিম নিতাই গাংবের গ্রামের আফজাল হকের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে তরিকুল শশুর বাড়ি থেকে নিজ গৃহে ফেরার সময় র্যাব পরিচয় দিয়ে তাঁকে আটক করে মটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। অপহরনকারী গ্যাংয়ের প্রধান মুনসহ অপর সদস্যরা তরিকুলের বাজারের ব্যাগ ও প্যান্টের পকেট তল্লাশী করে ৬০ হাজার টাকা বের করে নেয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে রাতভর মটর সাইকেলে নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি করে নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর বাজীতপাড়া ব্রীজের নিচে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মারধর করে। পরে গ্যাংয়ের প্রধান সাদিকুল ইসলাম মুন তাঁর ব্যবহুত মোবাইল ০১৩৯৪৯০২৩৯ নম্বর থেকে ০১৭১৯২৭৫৫৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাকে অপহরন করার পর অপহরনকারীরা সারারাত বিভিন্নস্থানে ঘোড়াঘুড়ি শেষে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন চায়। আমার পরিবারের লোকজন অপহরনকারীদের মুক্তিপনের টাকা নিয়ে উপস্থিত হলে অপহরনকারীগন আমাকে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করি। এদিকে একই ঘটনায় অপর একটি মামলায় মাসফিক উদ্দিন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৯ জন ও অঙ্গাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম, ঘটনার বিষয় স্বীকার করে বলেন, অপহরনকারীর মুল পরিকল্পনাকারী সাদিকুল ইসলাম মুন সেনাবাহিনীর সদস্য। সে ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসে নিজেকে ভুয়া র্যাব পরিচয় দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।