বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রংপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, ২০২৫ পালিত হয়েছে। এবছর জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি, বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি’। দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (১০ই মার্চ) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, ভৌগোলিকভাবে উত্তরাঞ্চল দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। প্রযুক্তির উৎকর্ষে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে থাকি। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে লাঘব করা সম্ভব।

জলাশয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খাল-বিল, পুকুর ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করায় জলাশয়ের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এজন্য কোথাও আগুন লাগলে দ্রুত তা নিভানো সম্ভব হয় না। এখনো যেসব জলাশয় রয়েছে তা যেন ভরাট করা না হয়, সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি ও দুর্যোগকালীন করণীয় বিষয়ে জনগণকে ধারণা দিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে এবং সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন, রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ বাদশা মাসউদ আলম প্রমুখ।
আলোচনাসভায় সরকারি কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্য, সাংবাদিক, এনজিওকর্মী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভা শেষে দিবসটি উপলক্ষ্যে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃক ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।