শনিবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ই-পেপার
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. গল্প ও কবিতা
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ধর্ম
  13. প্রযুক্তি
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

নীলফামারীতে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কাঠ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

নীলফামারীতে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কাঠ ব্যবসায়ীর মিস্ত্রি জহুরুল ইসলামের (৪৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার(৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ কিত্তনীয়া পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ও এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী।

নিহত জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তার (২০) জানায়, বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বাবা পাশবর্তী হাজীগঞ্জ বাজারে যায়। রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার কিছুক্ষণ পর ফোন আসলে আবারো বাজারে যায়। এরপর ফিরতে দেরি হওয়ায় বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দিলে বাবার ফোন বন্ধ পাই। ভোরের দিকে এলাকার নুর আলম ও আনছারুল নামের দুই ব্যক্তি বাড়িতে এসে বলে তোমার বাবার মরদেহ পাওয়া গিয়েছে। আমরা বড়াইবাড়ি গ্রামে ছুটে গিয়ে একটি ভুট্টা ক্ষেতে কাদা-মাটি মাখা অবস্থায় বাবার লাশ দেখতে পায়।

নিহত জহুরুল ইসলামের স্ত্রী রুমা বেগম (৩৫) দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তিনি জানান, আমার স্বামী ছোটখাটো কাঠের ব্যবসায়ী। আমি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি, মেয়ের বিয়ে হয়েছে, এক মাত্র ছেলে সুমন ইসলাম (২১) কোম্পানীর গাড়ি চালায়। আমাদের কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই।

এদিকে এলাকাবাসী জানায়, রাত ১১ টা পর্যন্ত বাজারেই ছিল জহুরুল। এরপর বাড়ির দিকে তিনি রওনা হন। কিন্তু তিনি বাড়ি পৌছালেন না। তাহলে বাড়ির পথে এমন কি হলো? তার মরদেহ বড়াইবাড়ি গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতে কিভাগে গেল।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আকলিমা বেগম নামের এক নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, লাশের শরীরে আঘাতের চিহৃ পাওয়া না গেলেও কারো সাথে ধস্তাধস্তিতে শরীরের কাপড় ও হাত পায়ে কাঁদামাটির দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

সর্বশেষ - রংপুর বিভাগ