
থাই লটারী ও ভিসা প্রতারণার মাষ্টারমাইন্ড কোটিপতি তাঁতী লীগ নেতা সাহাবুলকে গেফতার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)সন্ধ্য সারে ৬ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশ এ প্রতারককে গ্রেফতার করে। এর আগে গত সোমবার দৈনিক ইনকিলাবের উপজেলা সংবাদদাতা আব্দুর রউফ হায়দারকে হুমকি দিলে ওই প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী জিডি করে। যাহার জিডি নম্বর ১২৯৫। সাংবাদিককে হুমকির সংবাদটি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ওই প্রতারককে গ্রেফতারের পর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাধারন মানুষ সস্তির নিশ্বাস ফেলছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রতারক সাহাবুল ইসলাম র্দীঘদিন ধরে থাই লটারী বিজয়ী করে দেয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠিয়ে দিয়ে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বাংলাদেশী প্রবাসীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটিপতি বনে যান। এছাড়া সে অত্র এলাকার থাই গেম ও ভিসা চক্রের মূল মাষ্টারমাইন্ড। তাঁর অধীনে শতাধিক প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে। সে থাই ও ভিসা চক্রের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসীদের কখনও লটারী পেয়ে দেয়া আবার কখনও ভুয়া ভিসা প্রদর্শন পূর্বক প্রবাসীদের নিঃস্ব করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। কিশোরগঞ্জসহ আশপাশ এলাকায় অর্থের দৌরত্ম্যে বিভিন্ন অপরাধসহ ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তারসহ স্থানীয় শান্তিকামি সাধারণ জনগনকে জিম্মি করে রাম রাজত্ব কায়েম করছিল। এছাড়া সে সাংবাদিক, ওসি, পুলিশ সুপার, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্নজনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করছিল। সে অনেককে জিম্মি করেও অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে।

দৈনিক ইনকিলাবের কিশোরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা আব্দুর রউফ হায়দার বলেন, প্রতারনা করে ওই প্রতারক সাহাবুল কোটি টাকা ব্যায় করে দৃষ্টি নন্দন বাড়ি তৈরী করেছে। সংবাদ প্রকাশের জন্য ওই প্রতারকের বাড়ির ছবি তুলতে গেছে সে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে অত্র এলাকায় থাই গেম ও ভিসা প্রতারণার মূল নিয়ন্ত্রক। তার অধীনে চার থেকে পাঁচ শত জনের অধীক ব্যক্তি কর্তৃক থাই ও ভিসা চক্রের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসীদের কখনও লটারী পেয়ে দেয়া আবার কখনও ভুয়া ভিসা প্রদর্শন পূর্বক প্রবাসীদের নিঃস্ব করে অর্থ হাতিয়ে সেই অর্থ কিশোরগঞ্জসহ আশপাশ এলাকায় অর্থের দৌরত্ম্যে অপহরণ, ধর্ষন, ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তারসহ স্থানীয় শান্তিকামি সাধারণ জনগনকে জিম্মি করে রাজত্ব কায়েম করছিল। সেপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।