নীলফামারী সৈয়দপুরে কয়েক দিন ধওে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশা আর শৈত প্রবাহ চলছে। এতে করে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বীজতলা রক্ষায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের চাষীরা। তাই তারা পলেথিন দিয়ে বীজ তলা ঢেকে বীজ বাঁচানোর জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছে। বীজতলা রক্ষায় প্রায় প্রতিদিন ঔষধ স্প্রে করছেন কৃষকরা। এতে করে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার কামারপুকুর, বাঙ্গালীপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একই অবস্থা। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, টানা কুযাশার কারণে বীজতলা রক্ষার্থে পলেথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রেখেছি। সূর্যের মুখ দেখা দিলে পলেথিন উঠে ফেলব। এতে করে বাড়তি শ্রম দিতে হচ্ছে খরচও বাড়ছে। অতিরিক্ত লোক লাগিয়ে বীজতলা রক্ষার্থে প্রাণপন চেষ্টা করছি। এই অবস্থাতে যদি চারা নষ্ট হয় তা হলে ইরি-বোরো রোপন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
বানিয়াপাড়া এলাকার কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকের মূল্য উর্দ্ধোগতির কারণে এবারে ইরি বোরো-আবাদে গত বছরের চেয়ে বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশী খরচ হবে। একই কথা বলেন, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়ার কৃষক আনোয়ার হোসেন।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সেই সঙ্গে কুয়াশা ও ঠান্ডা া অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার কামারপুকুর বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আশা জানান, কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা পলিথিনে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বীজতলা ও আলু রক্ষাতে মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েয়ে।