নীলফামারী ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে একটি পরিবারের ৩৭ বছরের বসবাসরত বসতভিটা প্রভাবশালী মহলের জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। ভিটার অংশ হারিয়ে পরিবারটি দীর্ঘদিন থেকে অবরুদ্ধ হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুরী গ্রামের সহির খান প্রতিবেশী মতিযান নেছার কাছে ১৯৮৭ সালে ৬৮৯৮ নং দলিল মুলে সাড়ে ২২ শতক জমি ক্রয় করে। তিনি ওই জমির উপরে বসতভিটা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। দলিল মূলে বিএস রেকর্ড তার নামে অন্তর্ভুক্ত। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে আরিফ খান ভোলা ওই বসতভিটায় বসবাস করে আসছে ।
এমতাবস্থায় ওই বসতভিটার উপর প্রভাবশালী স্বাধীন ইসলামের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আরিফ খানের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবিসহ ভয়ভিতি দেখাতো। এক পর্যায়ে ২২ অক্টোবর ২০২৩ সালে আদালত ১৪৪ /১৪৫ ধারা জারি করেন।
এই সংবাদ পেয়ে ২৫-১০-২৩ তারিখে স্বাধীন নামে এক ব্যক্তিকে অংশীদার সাজিয়ে ৯ শতক জমি তারকাটার বেড়া দিয়ে জবর দখল করে। এখন বেড়া দেওয়ার ফলে আরিফ খান ভোলার পরিবারের লোকজনসহ ৩৭ পরিবারের গরু ছাগল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হতে না পেরে মানবতার জীবন যাপন করছে।
অপরদিকে, স্বাধীন ইসলাম পৈতৃক সূত্রে সাড়ে ২২ শতক জমির মধ্যে ৯ শতক জমির মালিকানা দাবি করলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। স্বাধীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর বেশি কোন কিছু বলতে পারব না।
আরিফ খান ভোলা বলেন, দলিল ও রেকর্ড মূলে জমির মালিক আমরা। তাদের যদি অংশ থাকতো তাহলে রেকর্ডের সময় তারা নিরব ছিল কেন। স্থানীয় একটি মহল আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের দাবি না মানায় তারা জমি দখলসহ ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে।
এমতাবস্থায় আমি আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি। আদালতে নিষেধাজ্ঞার নোটিশ হাতে পেয়ে তারা (বিবাদী) অবৈধভাবে আমার ৯ শতাংশ জমি দখল করেন। এর আমি সুবিচার চাই।