উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারী সৈয়দপুরে শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাতে থেকে ঘণ কুয়াশা আর ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্য়ের আলো দেখা যায়নি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সৈয়দপুর বিমানকন্দরে সকালের ফ্লাইটগুলো পাঁচ/ছয় ঘণ্টা দেরিতে ওঠানামা করছে। ফলে বিমানবন্দরে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন থেকে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্লেন চলাচলের জন্য ২ হাজার মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ২শ মিটার। ফলে দুপুরের আগে প্লেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের কারণে শ্রমজীবী ও গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে বিপদে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থতিতেই শহরের বাজারের কাপড়ের দোকানগুলো ও রেললাইনের ধারে পুরনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বিভিন্ন আয়ের মানুষজনের ভিড় বেড়ে যেতে দেখা গেছে। এদিকে তীব্র শীতের কারণে অভাবী ও ছিন্নমূল মানুষরা কষ্ট পাচ্ছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জানায়, উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৬ শত কম্বল ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে আরও বিতরণ করা হবে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াসিমুল বারী জয় জানান, গত কয়েকদিনে তীব্র শীত ও কুয়াশা থাকায় শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। বেশির ভাগ রোগী সর্দি, কাশি, জ্বরসহ শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।